কলেজছাত্রকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া সেই সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহারের লাশ উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট:

প্রেম-ভালোবাসার জোয়ার বয়স মানে না।তার অনেক প্রমাণ রয়েছে যুগে যুগে বিভিন্ন সময়ে। বয়সকে অতিক্রম করে প্রেম-ভালোবাসাকে প্রতিষ্ঠা করতে বিয়ে শেষ পর্যন্ত কেউ কেউ হয়েছে সফল আবার অনেকের সংসার গেছে ভেঙে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ভাইরাল হওয়া নাটোরের ছেলে মামুন তাঁর উপজেলায় একজন সহকারী অধ্যাপক কে বিয়ে করার ঘটনা ভাইরাল হয়।কিন্তু কী এমন হলো আট মাসের মাথায় সেই সহকারি অধ্যাপক হঠাৎ মৃত্যু হলো।

আরও পড়ুন…বিমানবন্দরে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারকে অভ্যর্থনা

নাটোরে কলেজছাত্রকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া সেই সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহারের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় কলেজ ছাত্র স্বামী মামুনকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার ভোররাতে নাটোর শহরের বলারীপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মামুন-নাহার দম্পতি নাটোর শহরের বলারীপাড়ার হাজি নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলায় ভাড়া থাকতেন।

ভবনের বাসিন্দা ও স্থানীয়রা জানান, রোববার ভোরে স্বামী মামুন ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানান, তার স্ত্রী খায়রুন নাহার শেষ রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের লাশ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। তারা মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন…অভ্যন্তরীণ নৌ রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ

নিহত খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর মোজাম্মেল হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

এর আগে গত বছর ১২ ডিসেম্বর ছয় মাসের প্রেমের পর স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়া এক ছেলের জননী খায়রুন নাহার কাজী অফিসে গিয়ে মামুনকে গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাস পর গত জুলাই মাসে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বেশ আলোচনা -সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সারাদেশের সচেতন মানুষ ছাত্রকে শিক্ষিকার বিয়ের নিয়ে হাজারো মন্তব্য করে।

তবে তখন ছাত্র মামুন জোরালোভাবে বলতে থাকেন— ভালোবাসার কোনো বয়স নেই, মন্তব্য কখনো গন্তব্যে পৌঁছাতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তার এমন বক্তব্যও সারা দেশে ভাইরাল হয়। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করা আলোচিত এই ছাত্র-শিক্ষিকা দম্পতির বিয়ের মাত্র আট মাসের মাথায় মৃত্যুর মাধ্যমে প্রেমের পরিসমাপ্তি ঘটল।

আরও পড়ুন…বেইজিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু

নাটোর থানার ওসি মো. নাছিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা তদন্ত শুরু করেছেন। সংশ্লিষ্ট অন্য বাহিনীর সদস্যরাও তদন্ত করবে। তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্ত হলে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে হত্যা আর আত্মহত্যা যাই হোক না কেন এমনটি ঘটল তা পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে।

তবে মামুন গভীর রাত্রে বাড়ির বাহিরে যায়।বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছে দারোয়ান। ১ ঘন্টা বাইরে থেকে আসার পর মামুন দেখে যে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু মামুন গভীর রাত্রে কেন বাড়ির বাইরে যায় তার উত্তর এখনো জানা যায়নি। পুলিশ আশা করছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে প্রকৃত মৃত্যু রহস্য।

ইবাংলা/জেএন/১৪ আগস্ট,২০২২

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us