যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া ২০১৮ সালের পর সোমবার (২২ আগস্ট) সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে তাদের সর্ববৃহৎ যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। সিউল জানিয়েছে, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রের হুমকী বেড়ে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তারা এই যৌথ মহড়া চালাচ্ছে।
ওয়াশিংটন সিউলের প্রধান নিরাপত্তা মিত্র এবং প্রতিবেশী পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৮ হাজার ৫শ’ সৈন্যের সমাবেশ ঘটিয়েছে। দু’দেশ জোর দিয়ে বলেছে, এই মহড়া সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক কিন্তু উত্তর কোরিয়া এটিকে হামলার মহড়া হিসেবে দেখছে।
কোভিড-১৯ এবং পিয়ংইয়ং-এর সঙ্গে কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে পিছিয়ে যাওয়ার পরে উলচি ফ্রিডম শিল্ড মহড়ার মাধ্যমে বড় আকারের প্রশিক্ষণ মহড়া শুরু হয়েছে। মার্কিন প্ররিক্ষা মন্ত্রনালয় জানিয়েছে ‘এই যৌথ মহড়ার তাৎপর্য হল দক্ষিণ কোরিয়া-মার্কিন জোটকে পুর্নগঠন করা এবং সম্মিলিত মহড়া ও মাঠ প্রশিক্ষণকে স্বাভাবিক করার মাধ্যমে সম্মিলিত প্রতিরক্ষা মজবুত করা।
এ মহড়ায়, দক্ষিণ কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে উত্তর কোরিয়ার আক্রমণের প্রতিক্রিয়াসহ বিভিন্ন পরিস্থিতির অনুকরণে মাঠ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ২২ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মহড়া চালবে।
ইবাংলা/জেএন/২২ আগস্ট,২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.