ঢাকা: প্রতিপালন না করায় প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসেন চৌধুরীকে তলব করেন হাইকোর্ট।।আদালত অবমাননার অভিযোগের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ.কে.এম. রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
আগামী ২৮ আগস্ট সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে আদালতের আদেশ অমান্যের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ, কে,এম, রবিউল হাসান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী দেওয়ান মো. আবু ওবায়েদ হুসাইন সেতু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস-আল-হারুনী।
আইনজীবী দেওয়ান মো. আবু ওবায়েদ হুসাইন সেতু বলেন, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জের সোহাগ টিম্বার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড থেকে কাঠ ক্রয় করে ফরিদপুরের এক ক্রেতা। সেই কাঠবোঝাই ট্রাক ফরিদপুর গেলে তা জব্দ করে পুলিশ। তখন আমরা আমাদের ব্যবসা পরিচালনা যাবতীয় সরকারি আইন মোতাবেক বৈধ কাগজপত্র ফরিদপুর বন বিভাগে দেখানো পরও সেটি হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে সেই চিড়াই কাঠ নিলামের মাধ্যমে সরবরাহ করতে বলেন।
আরও পড়ুন…ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ইভিএম বচন…
এ অবস্থায় ওই বছরের ২ মার্চ আমরা প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর আবেদন করি। দীর্ঘ দিনেও আমাদের আবেদনটি নিষ্পত্তি না করায় ওই বছরের ২ মে আমরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করি। রিটে বন সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, সামাজিক বনায়ন ফরিদপুরের প্রধান এবং ফরিদপুর জেলা প্রশাসককে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ৩০ দিনের মধ্যে প্রধান বন সংরক্ষক তাদের আবেদনটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়।
পরে ৩০ দিন পেরিয়ে গেলেও আবেদনটি নিষ্পত্তি না করায় গত বছরের ২১ ডিসেম্বর প্রধান বন সংরক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা বিষয়ে আইনি নোটিশ দেয়। এরপর নোটিশের জবাব না পেয়ে জুন মাসে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট প্রধান বন সংরক্ষককে তলব করে আদেশ দেয়।
ইবাংলা/জেএন/২৫ আগস্ট,২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.