শিশুর মস্তিষ্কের সুষ্ঠু বিকাশে পুষ্টির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । পুষ্টিকর খাবার শিশুর মস্তিষ্কের ওপর ইতিবাচক প্রভাব রাখে । তাহলে যেকোনো কিছু দ্রুত শিখতে ও মনে রাখতে পারবে। এ জন্য সব বাবা-মাই চান তার সন্তান তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন হোক।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
তাই শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি, মস্তিষ্কেরও পরিচর্যার প্রয়োজন রয়েছে।এগুলো ছাড়াও ইচ্ছাশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা এবং বহুমুখী কাজের দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
সাধারণত পাঁচ বছর বয়সের মধ্যেই শিশুর মস্তিষ্কের প্রায় সার্বিক গঠন ও বিকাশ সম্পন্ন হয়। এই সময়ে শিশুর খাদ্যতালিকায় নজর রাখা প্রয়োজন। সন্তানের স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে প্রতিদিনের খাবারে এমন কিছু পুষ্টিকর খাবার রাখা উচিত; যা তার মস্তিষ্ক সচল রাখতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ:
ডার্ক চকোলেট : ডার্ক চকোলেটে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান এবং ক্যাফিনসহ প্রচুর প্রাকৃতিক উদ্দীপক থাকে। এসব উপাদান মনোযোগ বাড়ায় এবং এন্ডোরফিনের উৎপাদনকেও উদ্দীপিত করে; যা মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই সাধারণ চকোলেটের বদলে শিশুকে ডার্ক চকোলেট খাওয়াতে পারেন।
তৈলাক্ত মাছ: তৈলাক্ত মাছ খাওয়া মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ উপকারী। যে সব মাছে তেল বেশি, তেমন কিছু বড় মাছ নিয়মিত খাওয়াতে পারেন।
বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার: বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার ভিটামিন ই-র ভালো উৎস। সঠিক মাত্রার ভিটামিন ই মস্তিষ্কের দক্ষতা হ্রাস পাওয়া কমায়। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শুকনো ফল যেমন— আখরোট, কাজু, পেস্তা, চিনা বাদাম এবং কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, তিল বীজ রাখতে পারেন।
ব্লুবেরি: রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে ব্লুবেরির তুলনা নেই। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। এই ফল মস্তিষ্ক সচল রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
ওটস: ওটসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। এটি পেটের নানা সমস্যা দূর করে। শরীরের জন্য উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়াতে পারে ওটস। এ কারণে শিশুদের নিয়মিত ওটস খাওয়ানো উচিত। এই খাবার শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। শিশুদের ওটসের তৈরি কুকিজ, কেক, বিস্কুট খাওয়াতে পারেন।
ইবাংলা/জেএন/৩১ আগস্ট ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.