বিদ্যমান সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও দৃঢ়করণে একমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ ও ভারত। বিশেষ করে যোগাযোগ, খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি, বাণিজ্য, অভিন্ন নদী, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলোতে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে উভয় দেশ।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লি সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের পর ২ দেশ সাতটি সমঝোতা স্মারকে সই করে।
এছাড়া পরিবেশ, সাইবার নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, আইসিটি, মহাকাশ প্রযুক্তি, সবুজ জ্বালানি ও সমুদ্র অর্থনীতির মতো নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতার তাগিদ দিয়েছে ২ পক্ষ এবং বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ও ভারতের এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
পরদিন বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এই যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ কর্মসূচিগুলো তুলে ধরা হয়।
এতে জানানো হয়, ভারত বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির বড় বাজার হয়ে ওঠার বিষয়টি বৈঠকে আলোচনা হয় এবং দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক অগ্রগতির প্রশংসা করা হয়।
এসময় ভারত থেকে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের মতো অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যের কাঙ্ক্ষিত সরবরাহ জারি রাখার অনুরোধ করে বাংলাদেশ। এর জবাবে ভারতও স্থানীয় বাজারে সরবরাহ পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশের অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দেয় এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব প্রচেষ্টা চালানোর কথা জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২ প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয়ও উঠে আসে। কোভিড-১৯ মহামারি ও তৎপরবর্তী বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়টি বিবেবচনায় নিয়ে ২ প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য মৈত্রী ও অংশীদারত্বের উদ্দীপনায় বৃহত্তর সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন…নাইক্ষংছড়ি ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বিবৃতিতে ২ দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর সই সমঝোতা স্মারক ও উদ্বোধন বা চালু হওয়া প্রকল্পগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়। ২দেশের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তারা ২ জনই সব পর্যায়ে চলমান যোগাযোগ অব্যাহত রাখার তাগিদ দেন।
ইবাংলা/জেএন/০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.