নোয়াখালীতে এক কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট অফিস কর্মকর্তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। দন্ডিত গোলামুর রহমান চট্রগ্রামের মোঘলটুলী এলাকার আব্দুল করিম চৌধরীর ছেলে।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে নোয়াখালীর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্তকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন…নারীদের জীবনে প্রতিবন্ধকতা দূর করে সমতাপূর্ণ দেশ গঠনে গণতন্ত্র অপরিহার্য
আদালতের নথি ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে নিলামে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কিছু গার্মেন্টস পণ্য ক্রয় করেন ব্যবসায়ী হাজী সেলিম।
তারপর ২০০৮ সালের ২০ আগস্ট রাত ২টার দিকে মালগুলো চট্রগ্রাম থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মালবাহীহী কাভার্ড ভ্যানটি ফেনী এলাকায় পৌঁছলে আটক করেন ফেনীর কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট গোলামুর রহমান ও ইন্সপেক্টর বিএম শাহজাহান। ওই সময় মালগুলো অবৈধ বলে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৬০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন গোলামুর রহমান।
পরবর্তীতে চট্টগ্রাম-২ দুদকের পরামর্শে গোলামুর রহমানকে ৬০ হাজার টাকা মার্ক করে ঘুষ দেওয়ার সময় দুদকের সহকারী পরিচালক শেখ আবদুস সালামের নেতৃত্বে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী হাজী সেলিম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনাটি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক নোয়াখালীর পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলায় অভিযুক্ত আসামি গোলামুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বিচারক ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ১৬১ ধারায় আসামিকে দুই বছর ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
আরও পড়ুন…চীনে মধ্য-শরৎ উৎসব হলো একটি পারিবারিক পুন:র্মিলনের উৎসব
পাশাপাশি তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজকে আসামি আদালতে এসে মামলা কনট্রেস্ট করে। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেননা। পরে রায়ের খবর শুনে আসামি পালিয়ে যায়।
ইবাংলা/জেএন/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.