রাজধানীর পল্লবীতে তিন কলেজ ছাত্রীর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক তরুণীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রাতে মামলা দায়েরের পর তাদের আটক করা হয়। পল্লবী থানার এসআই সজীব খান গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে দুইজন সহোদর। এছাড়া তাদের মধ্যে এক তরুণীও রয়েছেন। গ্রেপ্তার দুই ভাই হলেন- তরিকুল্লাহ (১৯) ও তার বড়ভাই রকিবুল্লাহ (২০)। বাকি দুজনের বয়স ১৮ বছর।
এসআই সজীব বলেন, আমরা তিন ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে।
শনিবার রাতে ‘নিখোঁজ’ তিন কলেজ ছাত্রীর মধ্যে একজনের বোন আইনজীবী কাজী রওশন দিল আফরোজ বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আইনজীবী রওশন জানান, চারজনের নাম উল্লেখ করেই তিনি মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনের কথা বলা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, রওশনের ছোট বোন পল্লবীর প্যারিস রোডে তার মায়ের সঙ্গে থাকতেন। গত ৩০শে সেপ্টেম্বর সকালে তাদের বাসায় গিয়ে জানতে পারেন তার বোনসহ সমবয়সী আরও দুই কলেজ ছাত্রীকে পাওয়া যাচ্ছে না। বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি পল্লবীর তিন কলেজ ছাত্রী ওইদিন অনেক খোঁজখুঁজি করে তাদের কাউকে না পেয়ে রাতে বাসায় গিয়ে জানতে পারেন হজের জন্য রাখা তার মায়ের ৬ লাখ টাকা, ৮০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার, জন্ম নিবন্ধন এবং স্কুল সনদপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। অপর দুইজনের মধ্যে একজনের বাসায় ৭৫ হাজার টাকা এবং অপরজনের বাসায় আড়াইভরি স্বর্ণালংকারসহ তাদের জন্ম নিবন্ধন এবং স্কুল সনদপত্র পাওয়া যাচ্ছে না।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পূর্ব পরিচিত এবং মামলার বাদী রওশনের বোনের বাসায় তাদের যাতায়াত ছিল। তিন কলেজ ছাত্রীকে পরস্পর যোগসাজসে তারা প্রলোভন দেখিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ফুসলিয়ে অপহরণ করেছে। আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পল্লবী থানার সেকশন- ১০ প্যারিস রোড, কাইল্লার মোড়, উত্তর পাশে পাকা রাস্তার উপর থেকে একটি অজ্ঞাত নম্বরের সাদা মাইক্রোবাসে উঠিয়ে তাদের অপহরণ করে নিয়ে গেছে।