রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে রাজিব বাহিনীর অবৈধ বিদ্যুৎ ওয়াসার সংযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গুলশানের করাইল বাজার ও বস্তিতে রাজিব বাহিনীর অবৈধ বিদ্যুৎ ওয়াসার সংযোগে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। কালু মিয়ার পুত্র রাজিব কড়াইল বস্তির মুকুটহীন সম্রাট। নানা অপকর্মের হোতা এ রাজিব। তার সন্ত্রাসী গুন্ডা বাহিনীর অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ এবং বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে।

মদ,জুয়ার আসর আর উঠতি বয়সে মেয়েদের নিয়ে বস্তিতে গড়ে তুলেছে রাজমহল। সকল অবৈধ কাজের মাস্টার মাইন্ড রাজিব এক সময়ের আলোচিত এরশাদ শিকদারকেও হার মানিয়েছে। পুলিশের সাথে সখ্যতা গড়ে বস্তিতে গাঁজা-হিরোইন মাদকের ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এলাকার স্কুল কলেজের পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা মাদকের ছোয়ায় নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন…বিয়ে বাড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেফতার

দিনে দিনে তারা এ অবৈধ কাজে বেশ সামিল হচ্ছে। অথচ প্রশাসন এক্ষেত্রে একেবারেই নিরব ভূমিকা পালন করছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে রাজিব ও তার বাহিনী এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের ভয়ে স্থানীয় লোকজন মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা । তবে তাদের মধ্যে নিরব প্রতিবাদ রয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের সন্তানরা যেন এক অজানা শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করে চলছে।

এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরাও রাজিবের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ। রাজিব তার বাহিনী দিয়ে বস্তির সহস্রাধিক ঘরে বিদ্যুতের খুটির সাথে হুক দিয়ে প্রায় ১০০০ (এক হাজার) ঘরে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যার সিংহ ভাগ পাচ্ছে রাজিব ও তার বাহিনী, অবশিষ্ট অংশ পাচ্ছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন ও বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু অসাধু কর্মচারী।

এছাড়া ওয়াসার পানির লাইন থেকে অবৈধ সংযোগ দিয়ে বস্তির প্রতিটি ঘর থেকে মাসিক হারে টাকা আদায় করছে রাজিব গং। ওয়াসার পানির লাইন থেকে আদায়কৃত টাকা রাজিব ও তার বাহিনী এবং ওয়াসার এক শ্রেনীর দুর্নীতি পরায়ন কর্মচারীদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নিচ্ছে এবং বেশ আমোদে দিন কাটাচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে রাজীব বাহিনীর অবৈধ পানিও বিদ্যুৎ সংযোগের দ্বারা লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে করাইলবাসির দাবি, অবৈধ সকল অপকর্মের হোতা ও এলাকার ত্রাস রাজীব ও তার বাহিনীকে বিচারের আওতায় আনার। এতে এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষগুলো স্বস্তি পাবে বলে ধারণা সকলের।
চলবে…

ইবাংলা/টিএইচকে

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us