বরগুনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের আদেশ অমান্য করেছে বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আহম্মদ আলী। এছাড়াও এ থানার উপ-পরিদর্শক দেবাশিষের বিরুদ্ধে ঘুষের টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার মনসাতলী গ্রামের শান্তি রঞ্জন রায়ের ছেলে কেশব রায় ১১ অক্টোবর বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেন তার নাবালিকা কন্যাকে একই গ্রামের প্রফুল্ল চন্দ্রের ছেলে বিশ্বজিৎ সরকার ১০ অক্টোবর অপহরণ করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন…বরগুনায় জেলা পরিষদ সদস্য নির্বাচিত
এসময় ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান বরগুনা থানার ওসিকে মামলাটি এজাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন। ১২ অক্টোবর বরগুনা থানা মামলাটি গ্রহন করার পরেও ওসি সে মামলা রেকর্ড করেনি। বাদী বলেন, আমি ১৫ অক্টোবর বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তারপরও বরগুনা থানার ওসি মামলা রেকর্ড করেনি। ওই থানার উপ-পরিদর্শক দেবাশিষ ওসির কথা বলে আমার কাছে টাকা দাবী করেন।
আমার বাসার পুরাতন ফ্রিজ বিক্রি করে ৪৯০০ টাকা দেবাশিষকে দিয়েছি। দেবাশিষ আরও টাকা দাবী করেন। দেবাশিষ আমাকে জানান ওসিকে টাকা না দিলে আমার মামলা রেকর্ড করবেন না। আমি বাধ্য হয়ে রোববার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি।
কেশব রায়ের আইনজীবী মো: জিয়া উদ্দিন বলেন, আদালত বলেছেন আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহম্মদ আলী বলেন, পুলিশ সুপারের লিখিত পেয়ে মামলা রেকর্ড করেছি। আমি কারো দ্বারা টাকা দাবী করিনি। বাদীর অভিযোগ সঠিক নয়।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার,স্বামী আটক
আরেক অভিযুক্ত বরগুনা থানার উপ-পরিদর্শক দেবাশিষ বলেন, মামলা রেকর্ড করবেন ওসি স্যার। আমি টাকা চাইব কেন। বাদীর অভিযোগ সত্য নহে।
ইবাংলা/জেএন/১৭ অক্টোবর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.