বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের গোলাঘাটা কড়ইতলা গ্রামে জমি জমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১জন কৃষক নিহত হয়েছেন। নিহত ওই কৃষকের নাম মো. ইউসুফ চৌকিদার(৫৫) তিনি ওই গ্রামের শের আলী চৌকিদারের ছেলে। সোমবার(৩১ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় জমিজমা সংক্রান্ত শালীস ব্যবস্থা শেষে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে তিনি নিহত হন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ইউসুফ চৌকিদার ও প্রতিপক্ষ হানিফ চৌকিদার গংদের সাথে দ্বির্ঘদিন ধরে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। সোমবার বিকাল ৫টায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাদের জমি জমা নিয়ে শালিস ব্যবস্থায় বসেন। তাদের শালিশ শেষে পুনরায় উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটা কাটির বিতান্ডা ঘটে।
আরও পড়ুন…গাজীপুরে হত্যার বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষরা ইউসুফ চৌকিদারকে লক্ষকরে ধারালো দা দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। ধারালো দায়ের কোপে তার মাথার খুলি ফেটে মজ্জা বেড় হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে বামনা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সন্ধ্যা সারে ৬টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। এঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে বামনা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানাগেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের স্ত্রী নাসিমা বেগম জানান, তাদের জমি জমা নিয়ে অনেক বছর ধরে প্রতিপক্ষ হানিফ চৌকিদার গংদের সাথে বিরোধ ছিলো। ঘটনার দিন তারা উভয় পক্ষ এই বিরোধ মেটানোর জন্য শালিস ডাকেন। শালিস শেষে তারা বাড়ি ফেরার সময় পুনরায় ওই জমি নিয়ে তার স্বামীর সাথে প্রতিপক্ষের বাকবিতান্ডার সৃষ্টি হয়।
এসময় প্রতিপক্ষ সলেমান চৌকিদারের ছেলে রাহাত(২০) একটি ধারালো রামদা দিয়ে তার স্বামীর মাথার ডানপাশে কোপ দেয়। সে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পরে। তার মাথার খুলি কেটে ভিতরের সব কিছু বেড়িয়ে যায়। এতেও তারা ক্ষান্ত হয়নি। তাৎক্ষনিক হানিফ চৌকিদার(৬০), রিমন(২২) হাবিব মাষ্টার(৫৮), রানী বেগম(৪০) ও মহারাজ(৪০) সহ আরো ৪-৫জন তার স্বামীকে মারধর করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় শালিস ব্যক্তিগত তাকে গুরুতর অবস্থায় বামনা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী দুলাল চৌধূরী বলেন, আমরা শালিস শেষে চলে আসবো এমন সময় পুনরায় তারা ঝগড়ায় জড়িয়ে পরে। এসময় প্রতিপক্ষরা ধারালো দা দিয়ে ইউসুফ চৌকিদারের মাথায় কোপ দেয়। কোপের আঘাতে তার মাথায় মারাত্মক জখম হয়।
আরও পড়ুন…আবহাওয়া পরির্বতনের সঙ্গে অ্যালার্জি, সুস্থ থাকার উপায় কি?
এ বিষয়ে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বশির আলম বলেন, আমরা ঘটনাটি জানার সাথে সাথে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। নিহতের পরিবারকে থানায় এনে মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামীকাল নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনায় পাঠানো হবে।
ইবাংলা/জেএন/৩১ অক্টোবর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.