আমদানির জন্য বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে চাল বাজারে আনতে হবে। এই সময় বেঁধে দিয়ে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যেসব আমদানিকারক এলসি খুলেছেন কিন্তু এখনও চাল বাজারজাত করতে পারেননি তাদের এলসিকৃত চাল বাজারজাত করার লক্ষ্যে আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হলো।
এই সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। চালের বাজারের লাগাম টানতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। চাল আমদানিতে শুল্ককর কমানোর অনুরোধ জানিয়ে গত ৬ জুলাই এনবিআরকে চিঠি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরপর গত ১২ আগস্ট চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে এনবিআর। এ সুবিধা ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
কমানো শুল্কহারে চাল আমদানির জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে পরে সে সময় বাড়ানো হয়। এরই মধ্যে ১৭ আগস্ট থেকেই চাল আমদানির জন্য অনুমতি দিতে শুরু করে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
গত ১৭ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৪১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৬ লাখ ৯৩ হাজার টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। এর মাঝে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ২ লাখ টনের মতো চাল আনেন আমদানিকারকরা।