বাজারে আসছে নতুন আলু

নিজস্ব পতিনিধি

গত কয়েকদিন ধরে বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু করছে। তবে বিক্রেতারা চড়া দাম হাকাচ্ছেন। তবে বেশ চড়া দামেই আলু বিক্রিও হচ্ছে। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আগাম জাতের আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। দাম ও ফলন ভালো পাওয়ায় খুশি আলু চাষিরা।

Islami Bank

কৃষি শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ডিজেল ও রাসায়নিক সারের দাম বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ও বাজার মূল্য বেশি পাওয়ায় উৎপাদন ব্যায় মিটিয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

আরও পড়ুন…দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিলে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এবার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় চার হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কৃষি অফিস বলছে যে বাজারে চাহিদা এবং দাম বেশি থাকায় আগেভাগে উচুঁ সমতলভূমির আগাম আলু তোলার উৎসবে মেতে উঠেছেন কৃষক। ফলে আলু উত্তোলনকে ঘিরে কৃষক-ক্ষেত মজুর ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জানা গেছে, প্রতি বছর এ উপজেলার ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষক আগাম আমন ধান ঘরে তুলে আগাম বাজার ধরার আশায় আগেভাগে আলুর বীজ বুনেন। বর্তমানে সেই ক্ষেত থেকে আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই ক্ষেতের আলু ক্ষেতে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কয়েক দিনের মধ্যে পুরোপুরি মাঠ থেকে আলু উত্তোলন শুরু হবে।

one pherma

বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের আলু চাষী আনারুল ইসলাম বলেন, আমি এবার ১৫ বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেছি। দুই বিঘা জমির আলু উত্তোলন করেছি। দুই বিঘা জমিতে আমার খরচ হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা। ৫২ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করে আমার লাভ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। বাকি জমির আলুর বাজার দর ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে পেলে দ্বিগুন লাভ করতে পারব।

উত্তর দুরাকুটি গ্রামের আলু চাষি শামীম হোসেন বলেন, আমি এবার ২০ বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেছি। আমার ২০ বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৬ লাখ টাকা। আশা করছি উৎপাদন ব্যয় বাদ দিয়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা লাভ করতে পারব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। চলতি বছর অনূকুল আবহাওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন ও চড়া দাম পেয়ে কৃষক পরিবারে সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। আগাম আলু আগাম ধান চাষ করে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে।

ইবাংলা/জেএন/২০ নভেম্বর ২০২২

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us