ওরা পাঁচ অদম্য নারী। বাধাঁ বিপত্তি অতিক্রম করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাবলম্বী পথ ধরেছে পাঁচ ক্যাটাগরিতে সাফল্য অর্জনকারী এই নারীরা। কেউ শিক্ষা দীক্ষায়, কেউ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, কেউ চাকুরী ক্ষেত্রে, কেউ বা আবার সফল জননী। রয়েছে নিযার্তনের বিভীষিকা মুছে নব উদ্যমে জীবন শুরু করেছে। আবার সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানও রেখেছে কেউ।
আরও পড়ুন…‘গোলাপবাগ সমাবেশস্থলে উল্লাস’ ফখরুল-আব্বাসকে কারাগারে
নিজ নিজ অবস্থান থেকে দীপ্ত পায়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণায় ওরা আজ আলোর পথযাত্রী। মধুপুরে জয়িতা অন্বেষণে এই পাঁচ অদম্য নারী নির্বাচিত হয়েছেন শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে। সারা দেশের ন্যায় মধুপুরেও জয়িতা অন্বেষণে পাঁচ ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিতদের ৯ ডিসেম্বর শুক্রবার বেগম রোকেয়া দিবসে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়েছে। শ্রেষ্ঠ জয়িতারা হলো-অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী রুমি খাতুন।
তিনি মধুপুর পৌরশহরের নাগবাড়ী গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে। শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী সালমা খাতুন। তিনি মধুপুর পৌরশহরের আব্দুল খালেকের মেয়ে। সফল জননী নারী নাছরিন সুলতানা। তিনি মধুপুরের নাথপাড়ার আজিজুর রহমানের স্ত্রী।
নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন ইসরাত জাহান। তিনি মধুপুরের পঁচিশা গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে। সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় সেলিনা আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন শ্রেষ্ঠ জয়িতা। তিনি মধুপুরের উত্তর লাউফুলা গ্রামের হাসমত আলীর স্ত্রী।
৯ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় জয়িতাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। উপজেলা পরিষদ হল রুমে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয় যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও সনাক সভাপতি বজলুর রশিদ খান চুন্নু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক জিহাদী, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, মধুপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম ছামদানী প্রমূখ।
আরও পড়ুন…বিজিবি-বিএসএফ আইজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন সমাপ্ত
পাঁচ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের মাঝে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক, সাংবাদিক, নারীসহ বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইবাংলা/জেএন/৯ ডিসেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.