বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, গণতন্ত্রের প্রধান বাহন হলো নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে বাংলাদেশে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। বিরোধী দলের প্রার্থীকে ভোট করতে দেয়া হয় না। প্রচারণা চালাতে দেয়া হয় না। অর্থাৎ ভোট ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ বিষয়ক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
আরও পড়ুন…প্রাইভেটকার ওট্রাক দুর্ঘটনায় আহত ৬, মৃত্যু ৩
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার জনগণকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না। অথচ তারা নাকি জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তাহলে জনগণ ভোট দিলো কোথায়? আগের রাতেই ভোটের বাক্স ভর্তি করা হয়েছে, যা সারাবিশ্বের লোকজন বলেছে। নির্বাচন কমিশনার নিজেও বলেছে। ২০১৪ সালে তো ভোটকেন্দ্রে ভোটারই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, একটি দেশের সংবিধান হচ্ছে সর্বোচ্চ আইন। যাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। তাই এ ধরনের বিষয় নিয়ে রসিকতা করা যায় না। নাগরিকের জন্য আইনের শাসন ও সুবিচার নিশ্চিত করা হবে সংবিধানের প্রস্তাবনায় লেখা আছে। যার ফলে রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে বিএনপি ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে।
তিনি আরও বলেন, যে দেশের প্রধান বিচারপতি সরকারের বিরাগভাজন হলে পদচ্যুত ও দেশছাড়া করা হয়, সে দেশের বিচার বিভাগ কতটা স্বাধীন? আমরা এসব বন্ধ করার লক্ষ্যেই রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা ঘোষণা করেছি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাকস্বাধীনতার কথা বলা হলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করা হচ্ছে। দেশের সংবিধান নিয়ে রসিকতা করছে সরকার। তাই রাষ্ট্র মেরামত ছাড়া কোনো উপায় নেই।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার বলছে তারা সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করবে। এটা কি তারা করেছে? মুক্তবাজার অর্থনীতির মাধ্যমে কি শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব?
আরও পড়ুন…মেট্রোরেলের কার্ড হারিয়ে প্রথম জরিমানা দিলেন ইমরান
তিনি আরও বলেন, আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা নিয়ে আরও যদি কারো কোনো প্রস্তাব থাকে সেগুলো বিবেচনা করা হবে। ২৭ দফায় বিভিন্ন কমিশন ও কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। সেসব করা হবে যোগ্য ও দক্ষ লোকদের দিয়ে।
ইবাংলা/জেএন/২৯ ডিসেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.