প্রয়োজনের চাইতে আবেগ ও ভালোবাসার টানে আসছে মানুষ। আসছে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো। মেট্রো স্টেশন উপচে পড়ছে মেট্রোরেলে চড়ার তীব্র আবেগ নিয়ে আসা মানুষের ঢল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে কেউ সুযোগ পেয়েছেন প্রথম দিন মেট্রোরেলে ওঠার, আবার কাউকে ফিরতে হয়েছে হতাশা নিয়ে। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় দিনেও মেট্রোরেলে ওঠার জন্য ভিড় দেখা গেছে স্টেশনে। অনেকেই ফজর নামাজ শেষেই মেট্রোরেলে চড়তে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন…দুপুর ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পাওয়া যাবে এমআরটি পাস
আগারগাঁও স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশার চাদরে মোড়ানো সকালে টিকিটের জন্য অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন লাইনে। আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিস মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন হয়েছে। অনেকটা একই চিত্র উত্তরা উত্তর স্টেশনে।জনসাধারণের জন্য বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা মেট্রোরেল খুলে দেয়ার দ্বিতীয় দিনেও যাত্রীদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
উত্তরা উত্তর স্টেশনে ভোর ৬টা থেকেই দীর্ঘ লাইন শুরু হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে যাত্রীদের ভিড়। লাইন হচ্ছে লম্বা। স্টেশনের প্রবেশগেটে দাঁড়িয়ে থাকা আখতার উদ্দিন বললেন, আমার মতো যারা প্রতিদিনের যাত্রী, তাদের জন্য মেট্রোরেল আশীর্বাদের মতো। সময় যেমন বাঁচবে, তেমনি বাসে চলাচলের ধকল পোহাতে হবে না।
মেট্রোরেলের প্রকল্প পরিচালক এম এন সিদ্দিক জানান, সকাল ৮টা থেকে মেট্রোরেল ছেড়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে। প্রথম দিকে কোনো স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে না। আমাদের প্রত্যাশা হলো তিন মাস পরে, সেটি ২৬ মার্চও হতে পারে, আমরা ওইদিন থেকে পূর্ণ অপারেশনে যাব। এই সময়ের মধ্যে মানুষ মেট্রোরেলে চড়ায় অভ্যস্ত হয়ে যাবেন, এটা আমাদের বিশ্বাস। শুরুতে মেট্রোরেল পূর্ণাঙ্গ অপারেশনে যাচ্ছে না।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্যিক যাত্রার প্রথম দিনে মেট্রোরেলের আয় হয়েছে দুই লাখ ৭৪ হাজার ৮৭২ টাকা। মোট যাত্রীর মধ্যে তিন হাজার ৭৫৬ জন একক পাস ব্যবহার করেছেন। তারা সবাই ৬০ টাকা করে ভাড়া দিয়েছেন। এতে আয় হয় দুই লাখ ২৫ হাজার ৩৬০ টাকা।
ইবাংলা/জেএন/৩০ ডিসেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.