সম্প্রতি আদালত কর্তৃক বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তাঁর সহধর্মিনী জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশে ক্ষোভ এবং উদ্বেগ জানিয়ে সংবাদ বিবৃতি দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া পরিষদ। রোববার (০৮ জানুয়ারি)
পরিষদে সভাপতি প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী সাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানা গেছে। বিবৃতিতে তারা বলেন- এটা একটি ফরমায়াসী আদেশ যা সরকারের ইঙ্গিতেই করা হয়েছে।
আরও পড়ুন…সপ্তম মেধাতালিকার ভর্তি শেষেও ইবিতে আসন ফাঁকা ৩৫ শতাংশ
কারণ ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেন সরকার এই মিথ্যা মামলাটি করেছিল সে সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও এ ধরনের অনেক মামলা করা হয়েছিল, যা তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এক নিমিষেই উধাও হয়ে যায়। অথচ তারেক রহমান এবং জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলাটি নিষ্পত্তি করার পরিবর্তে এটিকে জিইয়ে রেখে যখন দেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন দানা বেঁধে উঠেছে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এসে তাঁদের নেতৃত্বে দেয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ঠিক তখনই আদালতের এই আদেশ জনমনে প্রশ্ন তৈরি করেছে তাহলে কি আদালত নিজস্ব গতিতে চলে না সরকারের ইচ্ছায় চলে।
স্বাধীন মতামত ব্যক্ত করা এবং গণতন্ত্রের চর্চা করা বাংলাদেশের সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত অধিকার। তাহলে এ অধিকার থেকে এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তীকালে আধুনিক বাংলাদেশের রূপায়ন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যে পরিবার অপরিসীম ভূমিকা পালন করেছে সে পরিবারের ছেলে হিসেবে তারেক রহমান এবং তাঁর সহধর্মিণী কেন বঞ্চিত হবেন।
আমরা আশা করি সরকার কোন ব্যক্তির প্রতি প্রতিশোধ পরায়ণ না হয়ে গণতন্ত্রের পথে হাঁটবেন আর আদালত সকলের জন্য সমান আচরণ করবেন। কেউ যেন তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।
ইবাংলা/জেএন/৮ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.