নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভবন নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় গিয়েও প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার। গত (২৪ জানুয়ারি) খালেদা খাতুন (৫৫) ও তার পরিবারের একাধিক সদস্যের আবেদনের পরই আদালত থেকে ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে স্থিতাবস্থার আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
ভুক্তভোগী খালেদা খাতুন ও ছেলে-মেয়ে জানান, তারা মুছাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল করিম সাহেবের বাড়ির বাসিন্দা। তারা ও তাদের মা ওয়ারিশ সূত্রে তাদের বাবার একশত ২৩ ডেসিমেল সম্পত্তির মালিক।
সম্প্রতি একই বাড়ির হাবীব উল্যার ছেলে ওমর ফারুক ও তার তার পরিবারের একাধিক সদস্য জোরপূর্বক আমাদের মালিকীয় ৮৬ দাগের ৩ ডেসিমেল জায়গার ওপর ভবন নির্মাণ শুরু করে।
এ ঘটনায় নোয়াখালী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হলে আদালত গত ২৪ জানুয়ারি ওই জায়গায় স্থিতাবস্থা জারি করেন। কিন্তু ফারুক ও তার পরিবারের সদস্যরা আদালতের আদেশ অমান্য করে ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন।
বিষয়টি কোম্পানীগঞ্জ থানায় অবহিত করা হলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। যার ফলে তার জায়গায় নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, পুলিশের যোগসাজশে এই নির্মাণ কাজ চলছে। অভিযুক্ত ওমর ফারুক অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে দাবি করেন, তারা তাদের কাজ বন্ধ রেখেছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান জানান, কাজ বন্ধ রাখার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ওই সময় বাদী পক্ষ বাড়ি ঘর ভাংচুর শুরু করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন…প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসাইনের মৃত্যু
বাদী পক্ষ পুলিশকে ডেকে নিয়ে বিপদে পালানোর ব্যবস্থা করেছে। পুলিশের আগে বাধা দিতে পারবেনা। পুলিশ গেলে ভাংচুর করবে,পুলিশ কি আসামি হবে। পুলিশ বিপদে পড়বেনা।
ইবাংলা/জেএন/৩১ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.