দেশে চলমান তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। ঢাকা শহরজুড়ে রোদে রাস্তার পিচ থেকে যেন আগুনের হলকা বের হচ্ছে। এ তো গেল রাজধানীর অবস্থা। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী তিন দিন আরও বৃদ্ধি বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন… কাউকে দাওয়াত করে নির্বাচনে আনা সরকারের দায়িত্ব না
দুই দিন ধরে দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা বাড়ছে। খুলনা বিভাগের ১০টি অঞ্চল, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, সন্দ্বীপ, রাঙামাটি, ফেনী, বান্দরবান, খেপুপাড়া ও ভোলা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু দাপদাহ বয়ে গেছে। এ সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চূয়াডাঙ্গায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
গত মাসে দেশের দু-একটি অঞ্চলে মৃদু দাবদাহ বইলেও চলতি মাস থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে এই প্রবণতা বেড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে গতকাল শুক্রবার দেশের ১৯টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু দাবদাহ বয়ে গেছে। আবহাওয়াবিদরা জানান, মৃদু দাপদাহ বয়ে যাওয়া অঞ্চলের সংখ্যা ২০-এর বেশি। সব অঞ্চলে আবহাওয়া দপ্তর না থাকায় সব তথ্য পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুন… বঙ্গবাজারে আজ থেকে বসছে অস্থায়ী দোকান
জানা গেছে, মার্চ-এপ্রিল-মে এই তিন মাস কালবৈশাখীর মৌসুম। মার্চের ১৪ তারিখের পর প্রতিদিনই কিছু না কিছু বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ কারণে তাপমাত্রা বেশি বাড়েনি। মাঝেমধ্যে দুই-এক জায়গায় মৃদু দাবদাহ ছিল। তবে এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। এই সময়ে বৃষ্টি হলে কালবৈশাখী হয়। বৃষ্টিপাত না হলে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে।
ইবাংলা/এইচআর/৮ এপ্রিল ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.