প্রতিহিংসার জেরে কৃষক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
গোলাম কিবরিয়া বরগুনা :
বরগুনায় নির্বাচনী প্রতিহিংসার জেরে সাবেক ইউপি সদস্য ও কৃষক লীগ নেতা পনু মিয়াকে (৪৫) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এসময় তার স্ত্রীসহ উভয় পক্ষের দশ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। নিহতের বাবার নাম মোসলেম আলী আকন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের পাকুরগাছিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন>>>আমাদের রাজনীতি এখনো হিংসামুক্ত হয়নি: ওবায়দুল কাদের
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটার পাকুরগাছিয়া এলাকায় দলবল নিয়ে ঠান্ডা গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালায় পনু গ্রুপ। এসময় ঠান্ডা গ্রুপও রামদা, টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। পরে পনু গ্রুপের প্রধান সাবেক ইউপি সদস্য পনু মিয়াকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পনু ঘটনাস্থলেই মারা যান।
অপরদিকে পনুর সমর্থকদের হামলায় ঠান্ডা বাহিনীর প্রধান ঠান্ডা মিয়াসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয়রা আরো জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঠান্ডা গ্রুপ ও পনু গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরে সাবেক ইউপি সদস্য পনু মিয়াকে এর আগেও বেশ কয়েকবার কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ঠান্ডা বাহিনী।
আরও পড়ুন>>>বাল্যবিবাহে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম বাংলাদেশ
নিহতের স্ত্রী ছবি আক্তার বলেন, ঠান্ডা বাহিনীর ২০/২৫ জন লোক রামদা, টেঁটা নিয়ে আমার স্বামীকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তারা আমার ওপরও হামলা চালায়। এছাড়া আমার ছেলে-মেয়েরও কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। আমরা আহতদের উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে পাঠাই। মরদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে আছে। এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
ইবাংলা/ টিএইচকে
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.