দেশে মজুত গ্যাসে চলবে ১০ বছর: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

দেশে যে পরিমাণ গ্যাস মজুত আছে তাতে ১০ বছর চলবে বলে সংসদে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন তিনি। এসময় প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, দেশে নতুন আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র ইলিশায় মজুতসহ বর্তমানে গ্যাসের প্রাথমিক মজুত ৪০ দশমিক ৪৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট এবং উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত ২৮ দশমিক ৭৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে ৩১ মে ২০২২ পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৯৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলন করা হয়েছে। ৮ দশমিক ৮২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট মজুত অবশিষ্ট রয়েছে। দৈনিক গড়ে ২ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বিবেচনায় এ গ্যাসে ১০ বছর চলবে।

আরও পড়ুন>> আওয়ামী লীগের কাজই হচ্ছে সংঘাত সৃষ্টি: ফখরুল

রুস্তুম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে এলএনজির ধারণ ক্ষমতা প্রতিটিতে এক লাখ ৩৮ হাজার করে মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ঘনমিটার এবং প্রতিটির রি-গ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট করে মোট এক হাজার ঘনফুট।

তিনি জানান, কাতার ও ওমানের সঙ্গে পেট্রোবাংলার দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় বছরে ৩ দশমিক ৫ থেকে ৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।

এ ছাড়া স্পট মার্কেট থেকে চাহিদা অনুযায়ী এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ৩০ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হয়েছে। এর আনুমানিক পরিমাণ এক দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন। ২০২৩ সালে স্পট মার্কেট হতে ২১ কার্গো এলএনজি আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যার আনুমানিক পরিমাণ এক দশমিক ৩১ মিলিয়ন মেট্রিক টন।

মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৮ জন। বিগত অর্থ বছরে (২০২১-২২) পল্লী বিদ্যুতের নীট ক্ষতি ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এ সময়ে আয় রয়েছে ২৯ হাজার ১০৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ও ব্যয় হয়েছে ২৯ হাজার ৬২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, দেশের শতভাগ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুতের সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। দেশের সব উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়েছে।

মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানি/সংস্থা এ পর্যন্ত ৫৪ লাখ ৫৩ হাজার ৫৪৫টি প্রিপেইড মিটার স্থাপন করেছে, যা মোট বিদ্যুৎ গ্রাহকের (৪ কোটি ৫১ লাখ) ১২ দশমিক ০৯ শতাংশ। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে আরো ২৭ লাখ ৩০ হাজার এবং ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৩১ লাখ ৩০ লাখ প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট মিটারগুলো পর্যায়ক্রমে প্রি-পেইড/স্মার্ট প্রি-পেইড মিটারে রূপান্তর করা হবে।

ইবাংলা/এসআরএস 

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us