আফগানদের সহজ লক্ষ্য দিল টাইগাররা

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে তাওহীদ হৃদয়ের ফিফটির পরও সফরকারীদের সহজ লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা।

বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। বৃষ্টি বিঘ্নিত কার্টেল ওভারের ম্যাচটিতে ৪৩ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে তামিম ইকবালের দল। এতে আফগানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭০ রান।

এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদী।

এদিন বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ম্যাচের শুরু থেকেই হাত খুলে ব্যাটিং করেন তামিম। আর ৯ বল খেলে প্রথম রানের খাতা খোলেন লিটন।

আরও পড়ুন>> বৃষ্টিতে ফের বন্ধ বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের ম্যাচ

আফগানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ম্যাচের সপ্তম ওভারে ফজল হকের বলে রহমানউল্লাহ গুরবাজের তালুবন্দী হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তামিম। আউট হওয়ার আগে ২১ বলে ১৩ রান করেন এ বাঁহাতি ব্যাটার।

এরপর বাইশ গজে আসেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্রিজে এসেই আফগান বোলাদের ওপর চড়াও হন তিনি।

উইকেটে থিতু হওয়ার পর দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন লিটন। তবে দুই বাউন্ডারি ও এক ছয়ে ২৬ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। ম্যাচের ১২তম ওভারে মুজিব-উর-রহমানের বলে ডাউন লেগে উড়ে মারতে গিয়ে রহমত শাহ’র তালুবন্দী হন তিনি।

এরপর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই মোহাম্মদ নবীর প্রথম বলেই উইকেট বিলিয়ে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এতে ১২ রানেই থেমে যায় তার ইনিংস।

পরে আফগান বোলারদের চাপ সামলে বাংলাদেশের দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকেন সাকিব-হৃদয়। তবে আশা জাগিয়েও সাজঘরে ফেরেন সাকিব। ম্যাচের ২৩তম ওভারে আজমতউল্লাহর বলে কভার ড্রাইভ করেন তিনি। তবে ডান পাশে ঝাপিয়ে বলটি তালুবন্দী করেন নবী। এতে ১৪ রানে আউট হয়ে যান এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার।

এরপর উইকেটে আসেন টাইগারদের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। তবে উইকেটের সঙ্গে বোঝাপড়ার আগেই রশিদের বলে উইকেট বিলিয়ে দেন তিনিও। এতে চাপ বাড়তে থাকে টাইগার শিবিরে।

অবশ্য রশিদ খানের স্পিনের সামনে দাঁড়াতে পারেননি আফিফ হোসেনও। ম্যাচের ২৮তম ওভারে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়ে আউট হয়ে যান তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছেন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু মিরাজও হতাশ করেছে টাইগার ভক্তদের। ফজলহকের বলে মাত্র ৫ রানেই আউট হয়ে যান এ ডানহাতি ব্যাটার।

এরপর ক্রিজে আসেন তাসকিন। তবে চট্টগ্রামে আবারো হানা দেয় বেরসিক বৃষ্টি। এতে কিছু সময়ের জন্য খেলা বন্ধ ছিল। অবশ্য বৃষ্টি থামতেই ফের মাঠে গড়ায় ম্যাচটি। কিন্তু উইকেটে থিতু হওয়ার আগে মুজিবের বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন তাসকিন। এতে ৭ রানেই প্যাভিলিয়ের পথ ধরেন এ পেসার।

ম্যাচের শেষ দিকে হাসান মাহমুদকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান হৃদয়। এরপর ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধ শতক তুলে নেন এই তরুণ ব্যাটার। তবে ফিফটির ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ৫১ রানে আউট হয়ে যান।

এরপর মুস্তাফিজ ও হাসান মাহমুদের ছোট্ট ক্যামিওতে ১৬৯ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

এদিন আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন ফজল হক ফারুকী। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন রশিদ, মুজিব।

ইবাংলা/এসআরএস

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us