ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ

ইবাংলা ডেস্ক: প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ভাঙছে রেকর্ড। মশাবাহিত এই রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। বর্ষাকাল হওয়ায় অনেকে ডেঙ্গু জ্বরকে সাধারণ মৌসুমি জ্বরের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেন। এতে ঝুঁকি বাড়ে। চলুন ডেঙ্গুর কিছু সাধারণ লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিই-

জ্বর

ডেঙ্গুর মূল লক্ষণ জ্বর। শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে। আবার ঘাম দিয়ে ছেড়ে দেয়ার পর আবারও জ্বর আসতে পারে।

শরীরে ব্যথা

ডেঙ্গু হলে শরীরের প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এর সঙ্গে থাকে মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা। এসময় চামড়ায় লালচে র‍্যাশ বা ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন>> মগবাজার মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১

ক্ষুধামন্দা

ডেঙ্গু জ্বরের কারণে শরীর ঠান্ডা অনুভূত হতে পারে। ক্ষুধা কমে যাওয়া, শরীর ম্যাজম্যাজ করাও এই জ্বরের লক্ষণ।

রক্তক্ষরণ

ডেঙ্গুর সবচেয়ে খারাপ লক্ষণ রক্তক্ষরণ হওয়া। সিভিয়ার ডেঙ্গু রোগীর তীব্র পেট ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া, রক্তবমি, মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ, ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ হতে পারে। পাশাপাশি শ্বাস-প্রশ্বাসে জটিলতা, শরীর ঠান্ডা অনুভব বা ঘাম হওয়া, দ্রুত নাড়ি স্পন্দন, ঘুম ঘুম ভাব, চেতনা হারানো ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

পানিশূন্যতা

ডেঙ্গুর শক সিনড্রোম থেকে মানবদেহে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। এসময় পালস রেট অনেকটা বেড়ে যায়। রক্তচাপ দ্রুত কমে যায়। শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস চলতে থাকে। রোগী এসময় অস্থির হয়ে যায়।

ডেঙ্গু রোগীকে কখন হাসপাতালে নিতে হবে?

ডেঙ্গু রোগীর যদি কিডনি কিংবা লিভারে সমস্যা, পেট ব্যথা, বমি অথবা অন্তঃসত্ত্বা, অথবা জন্মগত যদি কোনো সমস্যা থাকে ইত্যাদি থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। রোগী শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ হলে আইসিইউ বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের প্রয়োজন হতে পারে।

এছাড়াও জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে যদি কোনো রোগীর দাঁতের মাড়ি বা নাক বা মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়, শ্বাসকষ্ট হয় তবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার পর শক সিনড্রোমের কারণে যদি রোগী রক্তচাপ অনেক কমে যায় তাহলেও দেরি না করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

ইবাংলা/এসআরএস

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us