যুগান্তকারী এই উদ্ভাবন শিগগিরই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে ক্যান্সার শনাক্ত ও চিকিৎসায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে, বাঁচবে বহু জীবন।
- ‘হেল্থ টাই’ এর খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক বায়োটেকনোলজি কোম্পানি ‘গ্রেইল’ ক্যান্সার শনাক্তে ‘গ্যালেরি’ নামের এই রক্ত পরীক্ষা উদ্ভাবন করেছে।
- গবেষণা চলাকালীন, একজন প্যাথলজিস্ট রক্তের নমুনার ১০ টিতে অপ্রত্যাশিত কিছু আবিষ্কার করেছিলেন।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, রোগী থেকে দুই টিউব রক্ত নিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০টিরও বেশি ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত করা সম্ভব হবে। ল্যাবে রক্ত পাঠানোর পর ১০ দিনের মধ্যেই মিলবে ফলাফল।
এই বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় এই রক্ত পরীক্ষার সুযোগ পাওয়া যাবে।
- এদিকে যুক্তরাজ্যে সেপ্টেম্বর মাসে এই রক্ত পরীক্ষার সবচেয়ে বড় ট্রায়াল শুরু হয়েছে। দেশটিতে সন্দেহভাজন ক্যান্সার ছাড়াই ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের অংশগ্রহণে এই ট্রায়াল চলছে। তা ছাড়া এ ট্রায়ালে ৪০ বা তার বেশি বয়সী ২৫ হাজার লোককে অন্তর্ভুক্ত করা হবে যাদের ক্যান্সারের সন্দেহজনক লক্ষণ বা উপসর্গ রয়েছে বলেও হেল্থ টাইম এর খবরে বলা হয়েছে।
এই রক্ত পরীক্ষার উদ্দেশ্য শুরুতেই ক্যান্সারের লক্ষণ খুঁজে বের করা, বিশেষ করে ফুসফুস, অগ্ন্যাশয় এবং পাকস্থলীর ক্যান্সারের মতো যেসব ক্যান্সার শুরুতেই শনাক্ত করা কঠিন।
ক্যান্সারের কারণে কোনো ধরনের সূক্ষ্ম পরিবর্তন এসেছে কি না এই পরীক্ষা তা শনাক্ত করতে পারে জেনেটিক কোডের কোনো অংশে কেমিক্যালের পরিবর্তন চিহ্নিত করার মাধ্যমে যা টিউমার থেকে রক্তনালীতে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও তখন পর্যন্ত কোনো উপসর্গ দেখা যায় না।
এই শনাক্তের মানে এই নয় যে রোগীর নিশ্চিতভাবে ক্যান্সার হয়েছে, বরং তার ক্যান্সার হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার ফলো-আপ পরীক্ষা প্রয়োজন।
মায়ো ক্লিনিক অনকোলজিস্ট ডা. মিনেত্তা লিউ বলেন, ‘আজকাল অনেক ক্যান্সারই অনেক দেরিতে ধরা পড়ে, তাতে করার তেমন কিছু থাকে না। সফল চিকিৎসার জন্য ক্যান্সার শুরুতেই শনাক্ত করার সামর্থ্য অর্জন জরুরি।’
ক্যান্সারের কারণে বিশ্বে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত পরীক্ষায় পাঁচ ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত করা যায়। আর একবার পরীক্ষায় কেবল এক ধরনের ক্যান্সারই শনাক্ত হয়। সিএনবিসি
ইবাংলা/ এইচ /০৪ নভেমবর, ২০২১