দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যে কোন মূল্যে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করতে হবে।
শনিবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি থেকে গণমিছিল আসে নয়াপল্টনে। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য প্রদানকালে বৃষ্টি শুরু হয়।
আরও পড়ুন>> চার দিনের সফরে ঢাকায় জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব কান্নি উইগনারাজা
‘এ দেশের সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হতে পারে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, তারাই তো সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করে, আর দোষ চাপায় বিরোধীদলের নেতাদের ওপর। এ জন্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে এই ভয়াবহ দানব সরকারকে পরাজিত করতে হবে। আপনারা বৃষ্টিতে ভিজে কষ্ট করছেন। আরও কষ্ট হবে। তবু এই সরকারকে পরাজিত করে দেশে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে ইনশাল্লাহ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এ সরকারে আর সময় নেই। তাদের পতন হবেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকলে এ দেশের মানুষের কোন স্বাধীনতা থাকবে না। তাই আপদ বিদায় করতে হবে। এ সরকারের কোন লজ্জা নেই, লজ্জা যদি থাকতো তবে নিজেরা হামলা করে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিতো না।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া এখনও মুক্তি পাননি। তিনি যদি মুক্তি না পান, তবে কে মুক্তি পেল তাতে কোন লাভ-লোকসান নেই।
তিনি আরও বলেন, মঞ্চে ওঠার জন্যে যেভাবে লড়াই করি, কিন্তু মাঠে তো এতো নেতা দেখি না। কেন মাঠে আমরা লড়াই করি না। সবাই আমরা নিজেদের নিয়ে ভাবছি। কিন্তু সবাই যদি রাস্তায় নামি তবে পুলিশ এতো মানুষকে গুলি করার সাহস পাবে না। আপনারা যদি মাঠে থাকেন তবেই তো নেতাকর্মীরা লড়াই করবে। যতই চাপার জোরে সরকার বলুক না কেন? নির্বাচন হলে শেখ হাসিনাকে নেমেই নির্বাচন হতে হবে। তাছাড়া কোন নির্বাচন হবে না।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, এই গণমিছিল প্রমাণ করে দিয়েছে এই স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনা টিকতে পারবে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, এতো রক্তদান কি বৃথা যাবে? নেতাকর্মীরা বলেন, না। শেখ হাসিনার সকল প্রচেষ্টা এখন বৃথা যাবে। সারা বিশ্বে বৃথা হয়ে ভারত গেছেন। কি আনবেন? ঘোড়ার ডিম আনবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আযম খান, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.