ডেঙ্গুতে সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় সপ্তাহে ১৯৭ জনের মৃত্যু

ইবাংলা প্রতিবেদক

সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বর। ইতোমধ্যেই ডেঙ্গুতে অতীতের মৃত্যু ও আক্রান্তের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ১৫৬ জন।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮ জনই ঢাকার বাইরের। এ সময় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ১২৯ জন।

আরও পড়ুন…এপিএস মামুনের দায়ভার রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

এরমধ্যে ঢাকার ৮৪৩ এবং ঢাকা সিটির বাইরে এক হাজার ২৮৬ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৯ হাজার ৮৯১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৯৬৪ জন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ২৮৩ জন। মারা গেছেন ৭৯০ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৫৪৭ এবং ঢাকা সিটির বাইরের ২৪৩ জন।

চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক লাখ ২৩ হাজার ৮০৮ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৫৮ হাজার ২১ ও সারাদেশে ৬৫ হাজার ৭৮৭ জন। এ সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৫৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতে ৪৩৮ ও সারাদেশে ১৫৫ জন।

এ বছর সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক লাখ ৬১ হাজার ৯৬৪ জন। এর মধ্যে ঢাকাতে ৭১ হাজার ৫০৩ ও সারাদেশে ৯০ হাজার ৪৬২ জন। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৭৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতে ৫৪৭ ও সারাদেশে ২৪৩ জন।

সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ১৫৬ জন ও মারা গেছেন ১৯৭ জন।

বিশেষজ্ঞরা জানান, গত কয়েক বছর ধরে অব্যাহতভাবে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘটলেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ডেঙ্গু ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ইতোপূর্বে ডেঙ্গু রাজধানী কেন্দ্রিক ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু রোগীদের অবস্থা খুব দ্রুত অবনতি হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন…পাহাড়ের খেলোয়াররা ক্রীড়াঙ্গনে অত্যন্ত দাপটের তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করছে; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তা নিয়ন্ত্রণে বাড়তি কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। অনেক কিছুই প্রকৃতির ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মশা নিয়ন্ত্রণ। সেখানে কার্যকর উদ্যোগ দেখছি না।

তবে, জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থাকবে। হয়তো ডেঙ্গু অনেক বেশি বাড়বে না, আবার কমবেও না।

ইবাংলা/ জেএন

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us