দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে চুরি করতে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ বলছে, ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নিহত মোহাম্মদ খবির উদ্দিন (৬৪) উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বুড়িরচর গ্রামের খবির ডুবাইয়ের বাড়ির আহম্মদ করিমের ছেলে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতের দিকে উপজেলার হরণী ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের কাজীর টেক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন…আরও ১০০ কর্মকর্তাকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোর রাতের দিকে উপজেলার হরণী ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের কাজীর ট্যাক গ্রামের বেলাল নদী থেকে মাছ ধরে বাড়িতে প্রবেশ সময় দেখতে পান ঘরের জানালার পাশে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে। পরবর্তীতে তিনি চোর বলে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ঘর থেকে বের হয়ে চোরকে ধরার জন্য ধাওয়া করে।
একপর্যায়ে চোর নিজেকে রক্ষা করার জন্য দৌড় দিলে বাড়ির পাশে খালে পড়ে মারা যায়। তবে নিহতের মাথায় এবং মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, চোর সন্দেহে ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিসান আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২জনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, মেঘনা নদীতে মাছ ধরার খেপ দখলকে কেন্দ্র করে জলদস্যুদের গুলিতে ২ জেলে নিহত হয়েছেন। এ সময় জলদস্যুদের গুলিতে গুলিবিদ্ধসহ ৮জন আহত হয়। এদিকে জলদস্যুদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠেছে নোয়াখালীর উপকূল।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে সুবর্ণচর উপজেলার মঞ্জু চেয়ারম্যান বাজারে জলদস্যু বাহিনীর প্রধান কেফায়েত উল্যাসহ তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে উপকূলের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন…রাজনীতি থেকে ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে: কাদের
এতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ চৌধুরী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হোসেন টুটুল, সাবেক ইউপি সদস্য হাসান খোকন, যুবলীগ নেতা আমির হোসেন রাজা মিয়াসহ পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন থেকে এই হত্যাকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দ্বীপ অংশে জেলেদের মাছ ধরার ট্রলারে গুলি চালায় জলদস্যু কেফায়েত বাহিনী। দস্যুদের গুলিতে নিহত আব্দুর রহমান (৪০) নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের নাছির আহমদের ছেলে ও একই উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ ইসমাইল (৪২)। নিহত ২ জেলের মরদেহ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলেন, জিল্লুর রহমান (৩২) ও নুর আলম মিয়া (৩৫)। এদের মধ্যে জিল্লুর নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ গ্রামের ভুলু মাঝির ছেলে ও মিয়া একই উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরতরাব আলী গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। অপহৃত জেলেরা হলেন, রাজু (১৩), জুয়েল (২৬), আব্দুর রহমান (২২), হোসেন (৪০), ইসমাইল (৪০)।
ইবাংলা/ বা এ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.