ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের রকেট হামলার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইতোমধ্যে অনেক হামাস যোদ্ধা ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে এবং নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালায় বলে দাবি করে তেলআবিব। ইসরায়েল স্বীকার করেছে তাদের অন্তত একশো নাগরিককে জিম্মি করেছে হামাস। তবে গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে বন্দিবিনিময় ইস্যুতে কোন আলোচনা শুরু হয়নি এমনটি স্পষ্ট করেছে তেলআবিব। খবর আল জাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েল।
এই সংঘর্ষ রোববার দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে। ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয়শো ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে, হামাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন>> হামাস-ইসরায়েল সংঘর্ষ: প্রাণহানি হাজার ছাড়াল
পাল্টাপাল্টি এই হামলার মধ্যে আজ রোববার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের অনুমোদন দিয়েছে, যাতে দেশটি সর্বাত্মক যুদ্ধে যেতে পারবে।
যুদ্ধের অনুমোদনের পরপরই গাজায় সামরিক হামলা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এর আগে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যাকা গুড়িয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন। তখন থেকে ধারণা করা হচ্ছে ইসরায়েল যেকোন সময় পদাতিক বাহিনী দিয়েও যুদ্ধে অংশ নেবেন।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শাসকগোষ্ঠী হামাস আকস্মিক হামলা শুরু করে। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা হামাসের এই হামলায় আহত হয়েছেন ইসরায়েলসহ আরও কয়েক দেশের দুই হাজারের বেশি নাগরিক। এদিকে, হামাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.