আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশের ন্যায় পটুয়াখালী ৪ আসনে নৌকার সমর্থকের উপর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। উক্ত নির্বাচনী এলাকা কলাপাড়া উপজেলার ধানখালি ইউনিয়নের নোমোর হাট গরু-ছাগলের বাজারের পশ্চিম পাশে ঘটনাটি ঘটেছে বলে যানা যায়।
পটুয়াখালী ৪ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মুহিবের সমর্থক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মাহবুবুর রহমান এর একদল সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার(২৪ ডিসেম্বর)সন্ধ্যার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মাহবুবুর রহমান এর একদল সন্ত্রাসী বাহিনী করেন।ধানখালী ইউনিয়নের নোমোর হাট গরু-ছাগলের বাজারের পশ্চিম পাশে মোঃ রিফাত (১৮) কে, হাত-পা ও চোখ বেঁধে অন্ধকার স্থানে নিয়ে গিয়ে চিরতরে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং লোহার রড ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে মারাত্মকভাবে জখম করে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে রিফাতের বড় ভাই পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে সময় সন্ত্রাসীরা লাঠি উঁচিয়ে স্লোগান দিতে দিতে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় নৌকার সমর্থক রিফাতকে উদ্ধার
করে হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রিফাতের বড় ভাই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জি.ডি)করেন। উক্ত ডায়েরীতে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের পাঁচজনকে আসামি এবং অজ্ঞাত নামা আরও অনেকে।
চিহ্নিত আসামীদের মধ্যে (১)আবুল বাশার (৪০),পিতাঃ ইদ্রিস হাওলাদার,(২) মোহাম্মদ স্বপন হাং, পিতাঃ ইউনুস হাং,(৩) মোহাম্মদ রাহুল (২৮), পিতাঃ এবলাস হাং, (৪) মোঃ সোহেল সর্দার, পিতাঃশাহ আলম সর্দার, (৫) মহাম্মাদ রাকিবুল ,পিতাঃ শানু হাং ও অজ্ঞাত সদস্যরা।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধানখালি ইউনিয়নে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের দাবী নির্বাচনকালীন সময় পর্যন্ত ঈগল প্রতীকের সন্ত্রাস বাহিনীর সদস্যরা যেন এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসামীদের কে আইনের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে শাস্তির দাবী জানান তারা ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.