ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে ট্যাংক,লরি ও ট্রাক মালিকরা। এর ফলে মোংলা বন্দর জেটিতে পন্য উঠা- নামার কাজ অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। মোংলা বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন,দ্রত সময়ে সড়ক পথে মালামাল পরিবহন করতে না পারলে লোকসানের কবলে পড়তে হবে তাদের।
ডিজেল ও কেরোসিনের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাস ও লঞ্চ মালিকরা। তবে ধর্মঘট এখনো অব্যাহত রেখেছে ট্রাক,ট্যাংক ও লরি মালিকরা। এর ফলে ধর্মঘট চলাকালে দেশের কোথাও থেকে রপ্তানীযোগ্য কোন পন্যবাহী ব্যাক্তি মালিকানা ট্রাক বা ক্যাভাডভ্যান মোংলা বন্দর জেটিতে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।
মোংলা বন্দর জেটিতে পন্য খালাস করে ব্যাক্তি মালিকানা পরিবহন দ্বারা দেশের কোথায়ও সড়ক পথে ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। তবে ধর্মঘট চলাকালীন সময়ে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আমদানীকৃত মালামাল নিজ্বস্ব পরিবহন দ্বারা মোংলা বন্দর জেটি থেকে সড়ক পথে পাঠানো হয়েছে।
মোংলা বন্দর সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ও বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি শেখ লিয়াকত হোসেন জানান,ট্রাক ও কাভ্যাডভ্যান ধর্মঘট অব্যাহত থাকায় মোংলা বন্দর থেকে পন্য ছাড় করে গন্তব্যে পৌছাতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদের। তাই দ্রæত ওই ধর্মঘট প্রত্যাহার না করা হলে লোকসানে পড়বে ব্যবসায়ীরা। এর ফলে অতিরিক্ত খরচ হওয়ায় আমদানীকৃত পণ্যের মুল্য বৃদ্ধি পাবে। ওইসব পণ্য ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে যেতে পারে।
মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের পরিচালক(ট্রাফিক) মোস্তফা কামাল জানান,মঙ্গলবার(০৯ নভেম্বর) একটি কন্টেইনার শিপ মোংলা বন্দরে আসার কথা রয়েছে।ওই বানিজ্যিক জাহাজের আমদানী পন্য খালাস ও রপ্তানী করতে ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে নিদিষ্ট সময়ে পন্য বোঝাই করে কন্টেইনার ভেসেলটি মোংলা বন্দর ত্যাগ করতে পারবেনা।
ইবাংলা/জসিম উদ্দিন/৮ নভেম্বর / ২০২১