রাজশাহীর বাঘা থেকে ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’-এর মাধ্যমে চাষ করা আমের প্রথম চালান ইউরোপে পাঠানো হয়েছে।মঙ্গলবার (৪ জুন) এই চালানে মোট দুই টন ক্ষীরশাপাতি আম পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্যে এক টন যাবে ফ্রান্সে এবং এক টন আম যাবে লন্ডনে।প্রথম চালানে বাঘা উপজেলার কলিগ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলামের প্রতিষ্ঠান সাদি এন্টারপ্রাইজ থেকে ১ হাজার ৮০০ কেজি এবং বিদ্যুৎ হোসেন নামে এক চাষির বাগান থেকে ২০০ কেজি আম পাঠানো হয়েছে।
বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদেশে নিরাপদ আম রফতানি করার লক্ষ্যে রপ্তানিকারক কোম্পানির সঙ্গে বাঘা উপজেলার ২১ চাষির চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ‘উত্তম কৃষি চর্চা’র মাধ্যমে আম চাষ করা হয়েছে।
এ চর্চার অন্যতম মানদণ্ড হচ্ছে স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদন, নিরাপদ ও খাদ্যমান রক্ষা, পরিবেশ সুরক্ষা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, কৃষি কর্মীর স্বাস্থ্য ইত্যাদি মেনে চলা। স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদনের মধ্যে রয়েছে সার, সেচ, বালাইনাশক প্রয়োগ ও ব্যবহারবিধি অনুসরণ।
বীজ ও চারা রোপণসামগ্রীর ব্যবহার, রাসায়নিকের পরিমিত ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা অবলম্বনে উৎপাদন নিশ্চিত করা। নিরাপদ ও খাদ্যমান রক্ষার মধ্যে রয়েছে ফসল সংগ্রহের পর সংরক্ষণ ও পরিবহন ব্যবস্থাপনা। এই ব্যবস্থাপনায় ২০১৬ সাল থেকে বাঘার আম বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান স্কয়ারের প্রতিনিধি নাজমুল হোসেন বলেন, ‘মৌসুমের প্রথম দিনে আমরা বাঘা থেকে দুই টন আম নিয়েছি। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এই আম নিয়ে গাড়ি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। এই আমের এক টন ফ্রান্সে এবং এক টন লন্ডনে যাবে।
বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে চাষ করা আম দেখেশুনে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমের সঙ্গে একটি প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হচ্ছে।
তারপর ঢাকার শ্যামপুর প্যাকিং হাউজ অ্যান্ড কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে আরেকটি প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হবে। এরপর এই আম বিদেশে চলে যাবে। এ লক্ষ্যে তারা শুরু থেকে কৃষকদের নিয়ে কাজ করেছেন। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও তদারকির কাজও করেছেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.