না.গঞ্জে কেন্দ্র দখল সংঘর্ষ গুলি
জেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি) জাঙ্গাল কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কেন্দ্র দখলের অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে রাবার বুলেট ছুড়ে পুলিশ।
বুধবার (১০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১০ টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় প্রায় অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ, এমনটা অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল হোসেনের সমর্থকরা। রাবার বুলেটে তাদের ১৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন জানান, সন্ধ্যার পর থেকেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাসুম আহমেদের সমর্থকরা পুলিশের সহযোগিতায় বিভিন্ন কেন্দ্র দখল করে ভেতরে অগ্রিম সিল মেরে রাখছিল। এ ঘটনায় আমরা বার বার চেষ্টা করেও থামাতে পারিনি। পরে তারা জাঙ্গাল কেন্দ্রেও একই কাজ করার সময় পুলিশ ও নৌকার সমর্থকদের এলাকাবাসী আটকে ফেলে। পরে তারা পুলিশের সহযোগিতায় পালাতে চেষ্টা করে। তাদেরকে ধাওয়া করে এলাকাবাসী ধরে ফেললে তাদের বাঁচাতে পুলিশ আমাদের ওপর রাবার বুলেট ছুড়ে। আমাদের ১৫ জনের মত লোকজন আহত হয়েছেন।
বিএনপির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন বিএনপির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন। তিনি আরও বলেন, আমি এ ঘটনা জানাতে বার বার ওসিকে ফোন করেও কোন সাহায্য পাইনি। তিনি ফোন ধরেননি। তবে আমাদের ইউএনও ও এএসপি বেলায়েত বার বার আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। ইউএনও এসেছেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় জাঙ্গাল কেন্দ্র রক্ষা পেয়েছে। আমি সকলের সহযোগিতা চাই।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন টেলিফোন প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন জানান, একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে, তবে এখনি বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক সাহার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদে মোট ভোট কেন্দ্র ৯টি ও ভোট কক্ষ ৫৩টি। পুরুষ ভোটার রয়েছে ১০ হাজার ৮০৮ জন এবং মহিলা ১০ হাজার ২২৯ জন।
এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন দুইজন। তারা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাসুম আহম্মেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন। তবে মাসুম আহম্মেদের প্রভাবে বেশ কোনঠাসা অবস্থায় কামাল হোসেন। তার কারণে একটিও ক্যাম্প তৈরি করতে পারেননি তিনি। উল্টো বর্তমান চেয়ারম্যানের কর্মীদের দ্বারা হামলার অভিযোগ করেছেন। সবশেষ প্রশাসনের দপ্তরেও দিয়েছেন অভিযোগ।
ইবাংলা/টিআর/১১ নভেম্বর ২০২১