প্রথম বিলিয়নার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ইতিহাসের

ক্রীড়াঙ্গন ডেস্ক

চ্যাম্পিয়নস লিগে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। তবে সম্প্রতি ছন্দে ফিরেছেন ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোরা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সলজবার্গকে ৫-১ গোলে হারিয়েছে রেকর্ড ১৫ বার ইউরোপসেরা ক্লাবটি।

Islami Bank

এমন জয়ের দিনে আরও একটি সুখবর পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ইতিহাসের প্রথম ফুটবল ক্লাব হিসেবে এক বছরে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ইউরো রাজস্ব আয় করেছে স্প্যানিশ ক্লাবটি।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) আর্থিক কনসালটিং ফার্ম ডেলয়েটের লন্ডনে প্রকাশিত ২৮ তম ‘ফুটবল মানি লিগ’ রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।২০২৩-২৪ মৌসুমে ১.০৬৫ বিলিয়ন ইউরো আয় করে তালিকার শীর্ষে রয়েছে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের নেতৃত্বাধীন রিয়াল মাদ্রিদ। মূলত রিয়ালের আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়াম।

স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি বা ম্যাচ ডে’তে প্রিমিয়াম অফার চালুর মাধ্যমে ২৫১ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে ক্লাবটি রিয়াল। যা আগের বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি।

নতুন ভিআইপি সিটে অতিরিক্ত ৮৩ মিলিয়ন ইউরো আয় হয়েছে তাদের। এছাড়া মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপন চুক্তিতে বাণিজ্যিক আয় ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সম্প্রচার আয় বেড়েছে ৮ শতাংশ।

ডেলয়েটেরে প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিয়াল মাদ্রিদ স্কোয়াডের বাজারমূল্য ১.৩৬৪ বিলিয়ন ইউরো। একই সঙ্গে ক্লাবের ব্যবসায়িক মূল্য ৫.০৯৭ বিলিয়ন ইউরো। এ ছাড়াও একাডেমির খেলোয়াড় বিক্রি করে ২১৮ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে রিয়াল।

one pherma

২০২৪-২৫ মৌসুমে একাডেমি থেকে মূল দলে আসা খেলোয়াড়দের সংখ্যা, ২০১৯-২০ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত একাডেমি খেলোয়াড়দের বিক্রয় আয় এবং ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-২১ খেলোয়াড়দের মাঠে কাটানো মিনিটের শতাংশ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

তবে আয়ের মতো ব্যয়ও বেড়েছে রিয়ালের। বর্তমানে তাদের ক্লাবের কর্মী খরচ ৫০৫ মিলিয়ন ইউরো, যা আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। তবে এটি হয়েছে মূলত ক্রীড়া সাফল্যের জন্য দেওয়া ৪১ মিলিয়ন ইউরোর বোনাসের কারণে।

তবে কর্মী খরচ ও অপারেটিং আয়ের অনুপাত (৪৭ শতাংশ) দিক থেকে দক্ষতা দেখিয়েছে ক্লাবটি। ১৬ মিলিয়ন ইউরো নিট লাভ দিয়ে আর্থিক বছর শেষ করেছে, যা বড় বিনিয়োগের পরেও ক্লাবটির আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রমাণ।

এদিকে ৮৩৮ মিলিয়ন ইউরো আয় করে রিয়াল মাদ্রিদের পরেই রয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি দ্বিতীয়। আর ৮০৬ মিলিয়ন ইউরো আয় করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পিএসজি। এ ছাড়াও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৭৭ কোটি ১০ লাখ ইউরো ও বায়ার্ন মিউনিখ ৭৬ কোটি ৫০ লাখ ইউরো আয় করেছে।

ইবাংলা বাএ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us