গাজায় সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ৭ শতাধিক মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া, তবে তাদের পরিচয় না মিলানো, এটি এক ভয়াবহ মানবিক সংকটের চিত্র তুলে ধরেছে। এই পরিস্থিতি, যেখানে মৃতদেহগুলোর অধিকাংশের পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না এবং অনেক দেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে রয়েছে, সেখানে পরিবারগুলির উদ্বেগের মাত্রা বাড়ছে।
আরও পড়ুন…বিক্ষোভ-হাতাহাতিতেই গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কমিটি
মেজর মাহমুদ বাসলের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগারের অভাব এবং উদ্ধার কাজে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অপ্রতুলতার কারণে মৃতদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করতে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি জানান, গাজায় ১০ হাজারেরও বেশি মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে রয়েছে, যা উদ্ধার কার্যক্রমকে আরও জটিল করে তুলেছে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পায়নি, যার কারণে উদ্ধার অভিযান প্রভাবিত হচ্ছে। মৃতদেহগুলোকে এখন ‘অজানা’ শ্রেণীর অধীনে সমাহিত করা হচ্ছে, এবং এসব দেহের অধিকাংশই টুকরো টুকরো হয়ে গেছে, যার ফলে নিখোঁজ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এই পরিস্থিতি ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনিবার্য হয়ে উঠেছে। হাজার হাজার পরিবার এখনও তাদের প্রিয়জনদের খুঁজে পাচ্ছে না, আর তাদের কষ্ট দিন দিন বেড়েই চলেছে।
ইবাংলা/ বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.