“আসুন আমরা সংহতি, সাহস ও মানবতা বেছে নিই” আগামি ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস। এ উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক হৃদয়স্পর্শী বার্তায় যুদ্ধ, নিপীড়ন ও বিপর্যয়ের মুখে পড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া লাখো শরণার্থীর প্রতি শ্রদ্ধা ও সংহতির আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন…আন্তর্জাতিক যৌন নিধন দিবসে জাতিসংঘের মহাসচিবের বার্তা
সোমবার (১৬ জুন) জাতিসংঘ আবাসিক তথ্য কেন্দ্র ঢাকা থেকে একটি লিখিত বার্তা প্রদান করেন। বার্তায় জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, “আজ আমরা সেই সমস্ত মানুষকে স্বীকৃতি জানাই, যারা বাধ্য হয়ে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়েছে। প্রতিটি শরণার্থী একজন জীবন্ত গল্প – একটি পরিবারকে উৎখাত করা হয়েছে, একটি ভবিষ্যৎ বিপর্যস্ত হয়েছে। দুঃখজনকভাবে, অনেকেই নতুন দেশে পৌঁছেও বন্ধ দরজা ও বিদেশিদের প্রতি ঘৃণার মুখোমুখি হয়।”
তিনি জানান, সুদান থেকে ইউক্রেন, হাইতি থেকে মায়ানমার – প্রতিটি সংকটে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ জীবন বাঁচাতে পলায়ন করছে, অথচ বিশ্বের সহানুভূতি ও সহায়তা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোই শরণার্থীদের সবচেয়ে বড় বোঝা বইছে, যা অত্যন্ত অযৌক্তিক এবং অস্থিতিশীল।
তবে এই প্রতিকূলতার মাঝেও শরণার্থীরা প্রদর্শন করছে ব্যতিক্রমী সাহস, দৃঢ়তা ও সহনশীলতা। গুতেরেস বলেন, “যদি সুযোগ দেওয়া হয়, তারা শুধু নিজেরাই ঘুরে দাঁড়ায় না, বরং অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং সমাজে মূল্যবান অবদান রাখে।”
বিশ্ব শরণার্থী দিবসে মহাসচিবের আহ্বান – সংহতি যেন শুধুই শব্দে সীমাবদ্ধ না থাকে। তার ব্যাখ্যায় সংহতির মানে হচ্ছে:
** মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তা বৃদ্ধি করা
** শরণার্থীদের সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অধিকার নিশ্চিত করা
** পুনর্বাসনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে বিনিয়োগ করা
** শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সমান অধিকার দিয়ে তাদের সমাজে একীভূত করা
সবশেষে জাতিসংঘ প্রধান বলেন, “শরণার্থী হওয়া কোনো পছন্দ নয়। কিন্তু আমরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাই, সেটাই আসল। আসুন, আমরা সংহতি বেছে নিই। সাহস বেছে নিই। মানবতা বেছে নিই।”
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.