রাজবাড়ির মেয়ে সুইজারল্যান্ডের এমপি
ই বাংলা প্রবাস:
সুইজারল্যান্ডে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন সুলতানা খান। জুরিখ জোন থেকে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ জুন) এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিতদের মধ্যে সুলতানা খান তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। সুলতানা খানের এই অর্জনে সুইজারল্যান্ডে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিসহ স্থানীয় নাগরিকরা অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এছাড়া ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শুভানুধ্যায়ী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা শুভকামনা জানিয়েছেন। সুলতানা খানের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়। তার বাবার নাম এসএম রুস্তম আলী। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
সুলতানার জন্ম ঢাকার মিরপুরে। তিনি ঢাকা সিটি কলেজ থেকে স্নাতক এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সাল থেকে স্বামী প্রবাসী সাংবাদিক, সংগঠক এবং ব্যবসায়ী বাকি উল্লাহ খান এবং দুই ছেলেসহ সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে বসবাস করে আসছেন।
সুলতানা খান সুইজারল্যান্ডের মূল ধারার বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশকর্মী হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন। সুইজারল্যান্ডে এবং ইউরোপে বাংলাদেশের শিল্প ও সাহিত্য চর্চার জন্য ‘বাংলায় স্কুলের’ তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। পরিচালনা পর্ষদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করছেন সুলতানা।
সুলতানা বলেন, ‘আমি প্রথমেই ধন্যবাদ দিতে চাই এখানে বসবাসকারী সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের, যারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। এছাড়া সুইজারল্যান্ডের জনগণ যারা আমাকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য ভোট দিয়েছেন। আমার এই অর্জন তাদের সবার জন্য।’
সংসদের বিশেষ অধিবেশনে নারী সাংসদ হিসেবে নারী অধিকার রক্ষায় তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখবেন। সুলতানা বলেন, ‘নারী অধিকারের বিষয়ে কথা বলার পাশাপাশি আমার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করা।
আমি সুইজারল্যান্ডে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার ও স্মৃতি স্থাপনা স্থাপনের প্রস্তাব রাখব, যাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এখানে এলে বাংলাদেশের গৌরবের ইতিহাস জানতে পারে।’’
ভারত ভ্যাকসিন রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিলো বলেই কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলো বাংলাদেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা তৈরি করতে পরিকল্পনা দরকার। আশ্রয়ন প্রকল্পকে সবচেয়ে বড় প্রকল্প উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, এরইমধ্যে চার লাখের বেশি আশ্রয়হীন মানুষকে ঘর দেয়া হয়েছে।
আই/ সুইজার/ ২৩ জুন, ২১