ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সরকারি স্কুলের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২৫ শিক্ষার্থীকে পাচারের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সেই শিক্ষকসহ তার চার সঙ্গীকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। উদ্ধারকৃত ২৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২১ জন কিশোর ও ৪ জন কিশোরী।
শনিবার (২০ নভেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জে এই ঘটনা ঘটে। রায়গঞ্জের স্থানীয় সমাজকর্মী কৌশিক চৌধুরীর বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ জানায় শনিবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ স্টেশনে কলকাতাগামী রাধিকাপুর এক্সপ্রেস পৌছানোর পর ২০-২২ জন কিশোর-কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে ষ্টেশনে এক ব্যক্তিকে দেখা যায়। এতগুলো বাচ্চা নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন এমন প্রশ্ন করা হলে ওই ব্যক্তি তার এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা জানান।
পরে সন্দেহ হওয়ায় তাকে নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করার এক পর্যায়ে সে সঙ্গে থাকা কারোরই পরিচয় দিতে পারছিলেন না। কিন্তু তিনি নিজেকে তাদের মামা দাবি করছিলেন। ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় রায়গঞ্জের রেল পুলিশ ও চাইল্ড লাইনে খবর দেওয়া হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তির নাম মুজাহিদিন ইসলাম। তিনি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের মহেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মুজাহিদিন ও তার তিন সঙ্গীকে আটক করেছে রেল পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ২১ কিশোর ও ৪ কিশোরীকেও। চাইল্ড লাইনের এক কর্মকর্তা জানান তারা কেউই এক এলাকার বাসিন্দা নয়।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের দাবি, ‘ঘোরার উদ্দেশ্যেই যাচ্ছিলাম সকলে মিলে। আমার মেয়ে বারাসত কলেজে পড়াশোনা করে। তাকে দেখার জন্য সকলে মিলে যাচ্ছিলাম। আর এক মেয়ের চিকিৎসার জন্যও যাচ্ছিলাম’। উদ্ধারকৃত কিশোর-কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক কী,জানতে চাইলে তিনি বলেন সম্পর্কে সবাই ছাত্র-ছাত্রী। নিজের আত্মীয়ও আছে, ছেলে-মেয়েও আছে, ভাগ্নে আছে।
শিক্ষকের এমন অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ বেড়েছে পুলিশের । ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্তে নেমেছে রায়গঞ্জের রেল পুলিশ।
ইবাংলা /টিপি /২১ নভেম্বর ২০২১