সম্প্রতি ডিজেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকে রাজধানীর ১২৮টি রুটে বাস-মিনিবাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ফলে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে । বাসে নেওয়া হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের চাপে কোনো কোনো বাস কোম্পানি হাফ ভাড়া নেওয়ার জন্য রাজি হয়েছে। ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনেও ৯টি দাবির মধ্যে হাফ ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি ছিল।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে কবে করা হবে তা স্পষ্ট নয়। বাসে হাফ ভাড়ার দাবিতে রাজধানীতে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে। শিক্ষার্থীদের হাফপাসের দাবিকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
একমাত্র সরকারি সড়ক পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি বাসেও শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের সরকারি বাসে হাফ ভাড়া নেওয়া হয় না। এ বিষয়ে সরকারি কোনো নির্দেশ আমাদের কাছে আসেনি। সরকার নির্দেশ দিলে আমরা বিআরটিসির বাসে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেব।
ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ার পর গত ৭ নভেম্বর থেকে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়য়ের পাশাপাশি হাফ ভাড়া নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন রুটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের বাকবিতণ্ডা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তা আন্দোলন-কর্মসূচিতে গড়াচ্ছে।
ইবাংলা / টিপি/ ২৫ নভেম্বর ২০২১