কঠোর লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর রাজধানী ছাড়ছে নগরবাসী। ঢাকার চারপাশের জেলাগুলোতে কঠোর বিধিনিষেধ চলার কারণে নেই গণপরিবহণ। তাই বিভিন্ন উপায়ে ঢাকা ছাড়ছেন তারা।
শনিবার (২৬ জুন) সকাল থেকেই দেখা যায়, গাবতলী এলাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনে করে ঢাকা ছাড়ছেন যাত্রীরা। এক্ষেত্রে তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
গাবতলী চেকপোস্টে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে প্রায় প্রতিটি গাড়ির। যথাযথ কারণ দেখাতে না পারলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, দেশের পূর্বাঞ্চল থেকে রাজধানীতে ঢোকার প্রবেশমুখ সাইনবোর্ড চিটাগাং রোডেও আছে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ। মূলত শিক্ষার্থী, কিংবা বেড়াতে আসা এবং কর্মহীন মানুষই কঠোর লকডাউনে আটকে পড়ার আশঙ্কায় রাজধানী ছাড়ছেন। তার ওপর দফায় দফায় বৃষ্টি তাদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে বহুগুণ। দীর্ঘ পথ হেঁটে যেতে হচ্ছে তাদের।
এর আগে, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে ৭ দিন কঠোর লকডাউন পালন করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। লকডাউনের সময়ে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ করবে পুলিশ এবং বিজিবি। মোতায়েন থাকবে সেনাবাহিনীও। আজই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বুঝে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। এসময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। আরো বন্ধ থাকবে জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সব ধরনের যান চলাচল।
অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। গণমাধ্যম এর আওতা বহির্ভূত থাকবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায়, এক বিবৃতিতে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
ই আই/ জাতীয়/ ২৬ জুন, ২০২১