কঠোর লকডাউন ঘোষণার পর ঢাকা ছাড়তে শুরু করা মানুষের ভিড় বেড়েছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে।করোনা মোকাবিলায় আগামী সোমবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর লকডাউন জারি থাকবে- এমন নির্দেশনা আসার পর রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছেন নানা পেশার মানুষ।
আজ শনিবার ভোর থেকেই দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা মানুষের আনাগোনা বাড়ছে পদ্মার দুই ঘাটে। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে তারা গাদাগাদি করে ফেরিতে পাড়ি দিচ্ছেন পদ্মা নদী।
উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকার প্রবেশপথ গাজীপুরে বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) উপ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জরুরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো যানবাহনকে গাজীপুরের ভেতরে বা বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কে পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেটকার, অটোরিকশা চলাচল করছে।
সাভারের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুস সালাম জানান, ঢাকা- আরিচা মহাসড়কে গ্রামমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। মানিকগঞ্জ ও পাটুরিয়া থেকে যাত্রীবাহী মিনিবাস চলতে দেখা গেছে মহাসড়কে। তবে সেই বাসগুলোকে আমিনবাজারে থামিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমিনবাজার এলাকায় যানজট তৈরি হয় বলেও জানান তিনি।
আব্দুস সালাম আরও জানিয়েছেন, সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বিরুলিয়া, আশুলিয়া ব্রিজ ও জিরাবো বাজার এলাকাতেও গ্রামমুখী মানুষের ভিড় রয়েছে। পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোর নজরদারি রাখছে।
এদিকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে গত দুই দিনের তুলনায় নাগরিকদের চলাচল বেড়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, আপাতত এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে। পরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এটা বাড়ানো হতে পারে।এ সময় জরুরি পরিসেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে।
জরুরি পণ্যবাহী যান ব্যতীত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
লকডাউনের সময় জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। তবে গণমাধ্যম লকডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে।