দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ৬ উইকেট হারিয়ে অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর ব্যাট করতে নেমে কোনও উইকেট না হারিয়েই ১৪৬ রান তুলে ফেলেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার আবিদ আলী ও আবদুল্লাহ শফিক।
দুজনের ব্যাটে টাইগারদের বিপক্ষে বড় লিড নেয়ার পথে ছিল সফরকারীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লিড তো দূরে থাক, বাংলাদেশের দেয়া স্কোরও ছুঁতে পারেনি পাকিস্তান। অল-আউট হয়েছে ২৮৬ রানে। এতে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকল ৪৪ রানে।
আগের দিনে একটি উইকেট নিতে পারলেও তৃতীয় দিনের শুরুতেই চমক দেখান তাইজুল ইসলাম। ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান।
তাইজুলের করা দিনের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে আবদুল্লাহ শফিককে ৫২ রানের মাথায় এলবিডব্লুতে ফেরান সাজঘরে, পরের বলেই নতুন ব্যাটার আজহার আলীকে একই ভাবে সাজঘরে ফেরান রানের খাতা খোলার আগে।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। একপ্রান্ত আগলে রেখে ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক তুলে নেন ওপেনার আবিদ আলী। দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার বাবর আজমকে মাত্র ১০ রানেই বোল্ড করে ফেরা মেহেদী হাসান মিরাজ। বাবরের ফেরার পর ফাওয়াদ আলমকে ৮ রানে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি দেন তাইজুল ইসলাম। ফাওয়াদকে ফেরানোয় দুর্দান্ত ক্যাচ নেন লিটন দাস। ব্যাটে লেগে বল হয়ে যাচ্ছিল কিন্তু লিটন তালু বন্দী করেন দারুণভাবে।
ফাওয়াদের ফেরার পর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে থিতু জতে দেননি এবাদত হোসেন। চলতি টেস্টে প্রথম উইকেটের দেখা পান রিজওয়ানকে ৫ রানে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে।
একপ্রান্তে যখন আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত সফরকারী ব্যাটাররা তখন উইকেটে আঁকড়ে ধরা আবিদ আলী ছুটছিলেন ডাবল শতকের পথে। শেষ পর্যন্ত তাকেও ফেরান তাইজুল ইসলাম। ১৩৩ (২৮২) রানের মাথায় এলবিডব্লু হয়ে ফিরতে হয় সাজঘরে।
আবিদের ফেরার পর হাসান আলীকে ১২ রানে ফিরিয়ে ৯ম বার ৫ উইকেট পূর্ণ করেন তাইজুল। এরপর সাজিদ খানকে ৫ রানে ফেরান এবাদত হোসেন। ৮ রান করা নুমান আলীকে ফিরিয়ে ৬ উইকেট নেন তাইজুল।
শেষ দিকে ফাহিম আশরাফ ও শাহিন আফ্রিদির জুটি টিকে যায় অনেক্ষক। দুজনের জুটি আশা দেখাচ্ছিল বাংলাদেশের রান টপকে যাবার তবে তাইজুল যে নাছোড়বান্দা! ফাহিমকে ৩৮ রানের মাথায় ফেরান লিটনের ক্যাচ বানিয়ে।
বাংলাদেশের পক্ষে ৭ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল, ২ উইকেট নেন এবাদত ও ১টি উইকেট নেন মেহেদী মিরাজ।