কৃষি বিভাগের আদুরে কন্যা ‘সমলয়’
সাইদুর রহমান তসলিম, মনোহরদী (নরসিংদী)
নাম ‘সমলয়’। কৃষি বিভাগের আদুরে কন্যার যেনো এ ‘সমলয়’। এ নিয়ে চলছে বিস্তর হাঁকডাক, দৌড়ঝাঁপ ও ব্যস্ততা। কৃষক পর্যায়ে কৃষি যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াতে কৃষি বিভাগের এ আয়োজন। প্রায় পুরো একটি ফসলের মাঠ নিয়ে এর কর্মযজ্ঞ। এতে সম্পৃক্ত মনোহরদীর সকল কৃষি কর্মী, কর্মকর্তা ও প্রায় একশ’ কৃষক। তাদের সবার নিরলস অবদানে ‘সমলয়’ দিনে দিনে নিজ রুপে আবির্ভূত হচ্ছে।
মনোহরদীর হাররদীয়া গ্রামের মাঠে ‘সমলয়’ নামের একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলছে মনোহরদী উপজেলা কৃষি অফিসের। কৃষক, মাঠকর্মী থেকে শুরু করে স্থানীয় এবং জেলা পর্যায়ের কৃষি- কর্তাদের ব্যস্ত সময় কাটছে এতে।
সমলয়’ যেনো মনোহরদী কৃষি অফিসের এক আদুরে কন্যার নাম। এই ‘সমলয়’ কৃষি বিভাগের একটি পরিকল্পনার বাস্তবায়ন পর্ব। চলতি বোরো মৌসুমের হাররদীয়া গ্রামের মাঠে দেড়শ’ বিঘে জমি নিয়ে শতেক কৃষকের সক্রিয় অংশগ্রহণে হাতে কলমে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার শিখছেন।
চলতি বোরো মওসুমের পুরো সময়টাই কৃষি বিভাগ কৃষকদের সাথে মাঠে থাকছে এখানে। ‘সমলয়ের প্রাথমিক পর্যায় এখন। এর প্রস্তুতি পর্বে সারি সারি ট্রেতে ধানের চারা উৎপাদন চলতে দেখা গেলো সেখানে। বৈরি আবহাওয়া ঝড়-বৃষ্টি, মাত্রারিতিক্ত কুয়াশা রুখতে তার উপর করা হয়েছে পলিথিন শেড। চারা উৎপাদন থেকে শুরু করে একেবারে বোরো ফসল কর্তন, আহরন পর্যন্ত কৃষি
কৃষি অফিস জানায়, ‘সমলয়’ এর শিক্ষার মাধ্যমে যান্ত্রিক চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করা গেলে ফসল উৎপাদন ব্যয় অনেকটাই কমে আসবে কৃষক পর্যায়ে। এখন বীজতলায় ট্রে পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন পর্ব চলছে এখানে।
সংশ্লিষ্ট কৃষি উপসহকারী কৃষ্ণ চন্দ্র পাল জানান,এ জন্য তারা সবাই নিরলসভাবে কাজ করছেন এ মাঠে। তারা ‘সমলয়’ বাস্তবায়নে কৃষক সম্পৃক্ততায় সব করছেন। যাতে পরবর্তীতে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে তারা ফসল উৎপাদন খরচ কমাতে পারেন।
মনোহরদীর সিনিয়ার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার জানান, ‘সমলয় ‘এর মাধ্যমে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধিই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। এতে ফসলের উৎপাদন ব্যয় অনেকাংশেই কমে আসবে। কৃষি শ্রমিক নিয়ে কৃষকদের হয়রানিও দূর হবে এতে।
ইবাংলা / এইচ/ ৬ ডিসেম্বর, ২০২১