চলতি বছর বিশ্বজুড়ে অন্তত ২৪ সাংবাদিককে তাদের কাভারেজের জন্য খুন হতে হয়েছে। ১৮ জন মারা গেছেন এমন পরিস্থিতিতে, যাতে তারা তাদের কাজের জন্য ‘টার্গেটে’ পরিণত হয়েছিলেন কিনা তা বোঝা মুশকিল। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কারাগারে বন্দি ছিলেন ২৯৩ সাংবাদিক। ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর এ সংখ্যা ছিল ২৭৪ জনে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংগঠন ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের’ (সিপিজে) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সিপিজে তাদের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের ওপর হামলা বিষয়ক বার্ষিক জরিপে বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) এমনটা বলেছে। খবর রয়টার্স’র।
বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের কারাগারে যাওয়ার পেছনে ভিন্ন ভিন্ন কারণ থাকলেও রেকর্ড সংখ্যক সাংবাদিকের বন্দি থাকা মূলত বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতা নিয়ে অসহিষ্ণুতা বাড়ার প্রতিফলন, বলছে সিপিজে।
এ নিয়ে টানা ছয় বছর বিশ্বজুড়ে রেকর্ড সংখ্যক সাংবাদিকের কারাবন্দি থাকার তথ্য রেকর্ড করল- বিবৃতিতে বলেছেন সিপিজের প্রধান নির্বাহী জোয়েল সিমন। ১৯৯২ সাল থেকে সিপিজে বিশ্বজুড়ে কারাবন্দি সাংবাদিকদের সংখ্যা নিয়ে কাজ করছে; তখন থেকে এ পর্যন্ত কখনোই একসঙ্গে ২৯৩ সাংবাদিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কারাবন্দি ছিল না, বলছে সংগঠনটি। তাদের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০৮ সাংবাদিককে জেলে যেতে হয়েছে।
সিপিজের হিসাব অনুযায়ী, চীন সবচেয়ে বেশি ৫০ সাংবাদিককে বন্দি করে রেখেছে, বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ। মিয়ানমারে বন্দি ২৬ সাংবাদিক, ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর থেকে চলা দমনপীড়নের অংশ হিসেবেই তাদেরকে আটকে রাখা হয়েছে। ২৫ সাংবাদিক বন্দি মিশরে, ভিয়েতনামে ২৩, বেলারুশে ১৯।
এ বছর পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে আছেন রয়টার্সের আলোকচিত্রী দানিশ সিদ্দিকী ও গুস্তাভো সানচেজ ক্যাবরেরা। জুলাইয়ে আফগানিস্তানে তালেবান হামলায় মারা যান দানিশ, আগের মাসে মেক্সিকোতে ক্যাবরেরাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ইবাংলা / নাঈম/ ০৯ ডিসেম্বর, ২০২১