অপহৃত ৩ শিক্ষার্থী উদ্ধার, নিখোঁজ ১

নিজস্ব প্রতিবেদক

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টেকনাফ শালবাগান পাহাড়ি এলাকা থেকে পৃথক অভিযান চালানো হয়। টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নে লেদা আনরেজিস্ট্রার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড় থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। ওই এলাকায় এখনও অভিযান চলমান রয়েছে।

কক্সবাজার ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম তারিক জানান, আজ সন্ধ্যায় যৌথ অভিযান চালিয়ে অপহৃত জাহেদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান নয়নকে উদ্ধার করা হয়েছে।

একই অভিযানে একই এলাকা থেকে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) মোহাম্মদ কায়ছারকে উদ্ধার করেছে। র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে অপহৃত মিজানুর ইসলামকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

৪ জন শিক্ষার্থীই উখিয়া উপজেলার সোনার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র এবং রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের হিমছড়ির কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন পেঁচারদ্বীপ এলাকার বাসিন্দা।

উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- মো.কায়সার হামিদ, মিজানুর রহমান নয়ন, জাহিদুল ইসলাম। অন্য শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে আশপাশের পাহাড়গুলোতে র‌্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও টেকনাফ থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে।

এর আগে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের কথা বলে টেকনাফে নিয়ে ‘মুক্তিপণের দাবিতে’ চার স্কুলছাত্রকে অপহরণের ঘটনায় ৩ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।

আটক রোহিঙ্গারা হলো- টেকনাফের মোচনী পাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের নুর সালাম (৫০), রনজন বিবি (১৩) ও সাদ্দাম মিয়া। তাদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ছবি : সংগৃহীত

পহরণের শিকার স্কুলছাত্রদের স্বজনদের বরাতে পরিদর্শক আব্দুল আলিম বলেন, রামুর পেচারদ্বীপের বাসিন্দা ও সোনার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাতিঘর নামের একটি আবাসিক কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও ইব্রাহিমের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সুবাদে গত ৭ ডিসেম্বর সকালে রামুর পেচারদ্বীপ এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহিম স্কুলছাত্রকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের কথা বলে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেয়। একপর্যায়ে ওইদিন সকাল ১০টার দিকে স্কুলছাত্রদের টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর থেকে স্কুলছাত্রদের খোঁজ মিলছিল না। এরই মধ্যে বুধবার রাতে নিখোঁজ স্কুলছাত্রদের স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাদের মুক্তিপণ বাবদ ২০ লাখ টাকা দিতে বলে। মুক্তিপণ না দিলে স্কুলছাত্রদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।

এই অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে। তারা রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপ এলাকায় বাতিঘর নামের একটি আবাসিক কটেজের কর্মচারী।

ইবাংলা / এইচ /১১ ডিসেম্বর ২০২১

Contact Us