দেহব্যবসার আয় দিয়ে পড়াশোনা!

ইবাংলা ডেস্ক

রূপান্তরকামী তাদের নাম শুনলেই আমাদের তথাকথিত ভদ্র সমাজের নাক কুঁচকে যায়। যাদের আজও প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলতে হয় নিজেদের অধিকারের জন্য। আজ আপনাদের সামনে সেরকমই এক রূপান্তরকামীর গল্প তুলে ধরব। তার নাম নাজ যোশী। তিনি হলেন এই দেশের প্রথম রূপান্তরকামী সুন্দরী। পরপর সাতবার দেশে ও বিদেশে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় জয় করেছেন সেরার শিরোপা। তবু এই নিষ্ঠুর সমাজ তাকে মেনে নেয়নি। তাই তাকে এখনো অর্থ উপার্জনের জন্য দাঁড়াতে হয় রাস্তায়।

তার জীবনের যাত্রাপথটা কখনোই সহজ ছিল না। ছোটবেলাতে নাজের মেয়েলি স্বভাবের জন্য পাড়া প্রতিবেশীর কাছে লজ্জায় পড়তে হতো তার বাবা-মাকে তাই তাকে মুম্বাইতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কখনোই পরের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকেননি নাজ মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি বারে নেচে পয়সা উপার্জন করেছেন। এভাবেই অর্থ উপার্জন করে আইএমটি থেকে এমবিএ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। শুধু পড়াশোনার জন্য নয় নিজের লিঙ্গ পরিবর্তনের অস্ত্রপচারের খরচ তিনি নিজেই যোগাড় করেছিলেন। ন্যাশেনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি থেকে পোশাক ডিজাইনিং এ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু সবটাই অনিয়মিত। এখনও বাকি রূপান্তরকামীদের মতো নিয়মিত সকালে রাস্তায় নেমে হাত পাততে হয় তাকে। তবে নাজ সবসময় চেষ্টা করেন সমাজের এই মনোভাবের বিরুদ্ধে তাঁর উঠে দাঁড়ানোর । তাঁর মতো আর যাঁরা এই পরিস্থিতির শিকার, তাদের প্রতি দায়িত্ব পালনের জন্য এই চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তিনি। বরাবরই নিজর খরচ নিজে চালানোর পক্ষপাতি নাজ তাই কোনও কাজকেই ছোট মনে করেন না।

ইবাংলা / নাঈম/ ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১

Contact Us