আপনি কি ধূমপান ছাড়তে চান! তাহলে আপনার জন্য রয়েছে গুরুত্ব পূর্ণ কিছু সহজ উপায়। ধূমপান করা এবং না করার মধ্যে শারীরিকভাবে বিরাট পার্থক্য রয়েছে। এব্যাপারে ইবাংলা’র সাথে কথা হয় তাওসিফ মাইমুন নামে এক ব্যক্তির। পেশায় তিনি সাংবাদিক। তিনি বলেন, ধূমপানের জন্য এক সময় প্রতিদিন তার ১০টি সিগারেট লাগতো। কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েছি তা পরিহার করতে। এইতো কয়েক বছর হল ধূমপান ছেড়েছি। এখন শারীরিকভাবে বিরাট পার্থক্য অনুভব করছি।
কিভাবে ধূমপান ছাড়লেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হঠাৎ একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেব। এটা জাস্ট একটা সংকল্প আর কিছু না্। ধূমপান ছেড়ে দেবার পর তা কয়েক মাস ধরে রাখতে বেশ কষ্ট হয়েছে। এরপর থেকে আর কখনও ধূমপান করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হয়নি।
ধূমপান ছাড়ার পর আপনার কেমন শারীরিক পার্থক্য হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তাওসিফ মাইমুন বলেন, পার্থক্যতো অনেক হয়েছে যেমন- আগে ঘুম ভালো হত না কিন্তু এখন ঘুম ভালো হয়। যখন ধূমপান করতাম তখন অনেক সময় ক্ষুধা লাগলেও খেতে ইচ্ছা করতো না। কিন্তু এখন সে ধরনের সমস্যা নেই। ধূমপান ছাড়ার জন্য কোন প্রস্তুতির দরকার নেই। আপনার একটি সিদ্ধান্তই যথেষ্ট বললেন সাংবাদিক।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা একবার কৌতূহল বশত একটি সিগারেট পান করেছে তাদের অনেকেই পরবর্তীতে ধূমপায়ী হয়ে গেছেন।তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের কারণে প্রতি বছর ৬০ লাখ মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে ধূমপানের বিষয়টি সবচেয়ে সামনে আসে। বাংলাদেশে গত ২৫ বছরে ধূমপান কমিয়ে আনায় কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি, গবেষণার তথ্য।
ধূমপান ছাড়ার ব্যাপারে চিকিৎসকের নিম্নোক্ত ১০টি উপায় ব্যবহার করলে ইবাংলার পাঠকরা উপকৃত হবে বলে আশাবাদি। চলুন জেনে নেয়া যাক উপায় গুলি-
১. আজ এখুনি ধূমপান ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করুন। টেবিল কিংবা পকেটে রাখা সিগারেটের প্যাকেট ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলুন
২. একদিন ধূমপান না করে দেখুন। এরপর পার্থক্য অনুভব করার চেষ্টা করুন। এরপর দুইদিন, তিনদিন ধূমপান থেকে দূরে থাকুন। তাহলে অভ্যাস গড়ে উঠবে।
৩. আপনার আশপাশে যারা ধূমপান বর্জন করেছে তাদের অনুসরণ করুন। তাদের স্বাস্থ্যগত কী পরিবর্তন এসেছে সেটি জানার চেষ্টা করুন।
৪. একটা হিসেবে করে দেখুন তো সিগারেট কিংবা তামাকজাত পণ্যের জন্য প্রতিমাসে আপনার কত টাকা খরচ হয়? হিসেব করে দেখলে ধূমপান ছাড়া আপনার জন্য সহজ হবে। সে টাকা জমিয়ে অন্য খাতে খরচ করতে পারেন।
৫. আপনার ধূমপায়ী বন্ধুদের সঙ্গ সুকৌশলে এড়িয়ে চলুন।
৬. সিগারেট ছাড়ার পর মুখে চুইংগাম কিংবা আদা চিবোতে পারেন। তাহলে ধূমপানের প্রতি আকর্ষণ কমে আসবে।
৭. যে সময়টিতে আপনার ধূমপান করতে ইচ্ছা করবে সে সময়ে রাস্তায় হাঁটুন। তাহলে ধূমপানের চাহিদা থাকবে না।
৮. যে কোন জায়গায় ধূমপান কর্নার থেকে দূরে থাকুন
৯. ধূমপান বিরোধী এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার বই পড়তে পারেন
১০. নিরুপায় হলে সর্বশেষ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে কাউন্সেলিং-এর সহায়তা নিতে পারেন।
ইবাংলা / নাঈম/ ২০ ডিসেম্বর, ২০২১