অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের এক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকার বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১, এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার এই দুই আসামি হলেন, মহিদুর রহমান ও তার স্ত্রী সাফিয়া শাহানা। তাদের বিরুদ্ধে অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করায় দুর্নীতি দমন আইন-২০০৪-এর ২৩(২) ও ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মহিদুর তিতাসের অপারেশন ডিভিশনের স্টেশন কন্ট্রোল শাখার ব্যবস্থাপক। তার বিরুদ্ধে এক কোটি ৪৫ লাখ ৩৬ হাজার ৬৮০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে মহিদুরের স্ত্রী সাফিয়া শাহানার নামে ঢাকার গুলশান থানার উলন মৌজায় দেড় কাঠা জমিতে ছয় তলা একটি বাড়ি, খিলগাঁও মৌজায় আধা কাঠা জমি, দক্ষিণখানে ২ কাঠা জমি, টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ৩৭ শতাংশ জমি ও বারিধারায় একটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গেছে।
এছাড়া গাজীপুরের বড়বাড়ি জ্যারোমা সিএনজি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশনের ৩৩.৩৩ শতাংশ মালিকানা, একই এলাকায় যমুনা সিএনজি স্টেশন (ইউনিট-২)-এর ৪৫ শতাংশ মালিকানা, ব্যক্তিগত গাড়ি ও ফার্নিচারসহ মোট ৪ কোটি ৪ লাখ ৪৪ হাজার ১৩২ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।
অপরদিকে তার ব্যাংক ঋণ বা দায় পাওয়া গেছে ১ কোটি ১৯ লাখ ৪৭১ টাকা। ঋণ বা দায় বাদে তার নামে অর্জিত নিট সম্পদের মূল্য ২ কোটি ৮৫ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬১ টাকা। অথচ দুদকের নোটিশের জবাবে এসব স্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে তিনি মাত্র ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকার অস্থাবর-স্থাবর সম্পত্তির হিসাব বিবরণী দাখিল করেছিলেন।
জানা গেছে, অনুসন্ধান ও সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে সাফিয়া শাহানার আয়-ব্যয়ের তথ্য ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ১ কোটি ৯০ হাজার ৫০০ টাকার। এর বিপরীতে তিনি পারিবারিক ব্যয় করেছেন ১৮ লাখ ৩৭ হাজার ৮০০ টাকা। পারিবারিক ব্যয় বাদে দুই কোটি দুই লাখ ৯০ হাজার ৯৬১ টাকার সম্পদ অর্জনের পক্ষে আয়ের গ্রহণযোগ্য কোনও উৎস পাওয়া যায়নি।
ইবাংলা/জেডআরসি/২২ ডিসেম্বর, ২০২১