লঞ্চে আগুন: স্বজনদের আহাজারি

জেলা প্রতিনিধি, ঝালকাঠি

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ জনে। এছাড়াও ২০০ জনেরও বেশি যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় মৃতদের স্বজনদের আহাজারিতে নদীপাড়ের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।

Islami Bank

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ ৮০-৯০ জন বরিশাল, ঝালকাঠিসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে, বরিশালের বার্ন ইউনিট বন্ধ থাকায় সেখানে দগ্ধ রোগীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

লঞ্চের যাত্রী সাইদুর রহমান জানান, তিনি ঢাকা থেকে বরগুনা ফিরছিলেন। ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের ঠিক আগে গাবখান সেতুর কিছু আগে লঞ্চের ইঞ্জিনরুমে আগুন লেগে যায়। এরপর সেই আগুন পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে।

জানা যায়, লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া এলাকায় আসলে গতরাত ৩টার দিকে ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

one pherma

পরে দগ্ধ যাত্রীদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছেন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানান, ঢাকা থেকে ৩১০ জন যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল এমভি অভিযান নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ। রাতে ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুন লেগে দগ্ধ হয়ে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও ২০০ জনেরও বেশি যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন।

ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হক জানান, ভোর ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যাত্রীদের উদ্ধারে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। এদিকে এ ঘটনা তদন্তে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

ইবাংলা / নাঈম/ ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১

Contact Us