জন্মের পর শরীরিক প্রতিবন্ধকতা দেখে তাদের পরিত্যাগ করেছিলেন হতদরিদ্র মা-বাবা। এরপর তাদের ঠাঁই হয়েছিল পাঞ্জাবের অমৃতসরের একটি এতিমখানায়। এক শরীরের জোড়ভাই নয়াদিল্লির সোহনা ও মোহনা বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত সয়ে বেড়ে উঠেছেন। সর্বশেষ ভোটাধিকার পাওয়ার পর এবার চাকরিও পেলেন তারা। খবর- এনডিটিভি।
সোহনা ও মোহনা এক শরীরে দুই হৃদয়, দু’জোড়া হাত, কিডনি, একটি করে মাথা, মেরুদণ্ড, লিভার, গলব্লাডার, প্লিহা নিয়েই জন্মেছিলেন দুই ভাই। শরীরের অন্যান্য অংশ আলাদা হলেও কোমরের অংশটি জোড়া লাগান। দুই পায়ের উপর ভর করেই তাদের আলাদা দুটি সত্বা। ২০০৩ সালের ১৪ জুন নয়াদিল্লির সুচেতা কৃপলানি হাসপাতালে জন্ম গ্রহণ করেন তারা। যদিও জন্মের পর তাদের বেশি দিন বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিল চিকিৎসকরাই।
প্রায় ১৭ বছর পর ২০ ডিসেম্বর সরকারি চাকরি পেয়ে তারা বুঝিয়ে দিয়েছে প্রতিবন্ধিতাকে বড় করে না দেখে যোগ্যতাকেই মূল্যায়ন করতে হয়। বেতন মাসে ২০ হাজার টাকা। পাঞ্জাবের রাজ্য বিদ্যুৎ করপোরেশনে বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের দেখভাল করবেন তারা। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো দুই ভাই। স্কুল শেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করছিলেন। তখন থেকেই তাদের দিকে নজর ছিল বিদ্যুৎ সংস্থার। পড়া শেষ হতেই তাদের নিযুক্ত করল রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর।
পাঞ্জাব সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে দুই ভাই বলেন, ‘চাকরি পেয়ে আমরা অত্যন্ত খুশি। আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করব। বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মকর্তা রবীন্দ্র কুমার বলেন, সোহনা এবং মোহনাকে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই এ চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, কোনো রকম অনুকম্পা নয়।
ইবাংলা /টিপি/ ২৫ ডিসেম্বর