কক্সবাজারে নারী পর্যটকদের জন্য সংরক্ষিত এলাকা নির্দিষ্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সৈকতে নারীদের জন্য আলাদা ড্রেসিং রুম ও লকার রুম করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এক পর্যটককে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর নারীদের জন্য এ বিশেষ ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হলো।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, ‘নারী পর্যটক বা পর্দানশীল নারীদের জন্য এক-দেড়শ ফিটের একটা সংরক্ষিত এলাকা হবে। যারা ইচ্ছুক হবেন বা স্বেচ্ছায় চাইবেন, তারা সেখানে গিয়ে পানিতে নামতে পারবেন। খুব তাড়াতাড়ি সেটি চালু করা হবে। সৈকতে নারীদের জন্য আলাদা ড্রেসিং রুম ও লকার রুমও করা হবে।’
তিনি আরও জানান, পর্যটন এলাকা নারীবান্ধব করার জন্য সৈকতে যারা কাজ করেন, তাদের বড় একটি অংশে নারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের মধ্যেও নারী পুলিশ রয়েছেন। হোটেল বা গেস্ট হাউজে যেন পর্যটকরা নিরাপদে থাকতে পারেন, এ ব্যাপারেও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। মালিক ও পরিচালকদের সঙ্গে তারা বৈঠক করেছেন। হোটেল কর্মীদের এসব ব্যাপারে প্রশিক্ষণ ও সচেতন হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারের হোটেল মালিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে আমাদের যদি এক-দুই মাস সময়ও লাগে, তারপরেও এসব বাস্তবায়ন করতে পারলে পর্যটনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।তবে কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, অবস্থা কিন্তু অতোটা খারাপ নয়। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ-সবাই সাধ্যমতো চেষ্টা করছে।
ইবাংলা /টিপি/২৬ ডিসেম্বর