বিশ্বের একশোর বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে সংক্রমণ পরিস্থিতি ক্রমেই নাজুক হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের এ ধরন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে কোভিড নাইনটিনের তৃতীয় ঢেউয়ের আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রতিবেশি দেশ ভারতেও বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এমন অবস্থায় বাংলাদেশেও যেকোন সময় ওমিক্রন হানা দিতে পারে বলে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। আগামী মার্চ এপ্রিলে এ ঢেউ দেখা দিতে পারে বাংলাদেশে। এখনই সতর্ক না হলে ওমিক্রন এর প্রভাবে বাংলাদেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
আইডিসিআর’এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এস এম আলমগীর বলেন, ওমিক্রন খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে। যারা আগে থেকেই রোগাক্রান্ত ছিলেন এবং টিকা নিয়েছেন তারা কিন্তু আবারও সংক্রমিত হচ্ছে। ওমিক্রন না এলেও করোনার আরেকটি ঢেউয়ের শঙ্কা রয়েছে কারণ পৃথিবী থেকে এখনো করোনাভাইরাস দূর হয়নি। ফলে যেকোন সময় আরেকটি ঢেউ আঘাত হানার শঙ্কা রয়েছে।
আইইডিসিআর উপদেষ্টা ডা. মুস্তাক হোসেন বলেন, ওমিক্রন যেভাবে ছড়াচ্ছে সেভাবে যদি বাংলাদেশে ছড়ায় পড়ে তাহলে পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর একটা প্রভাব পড়বে। এটি শুধু চিকিৎসা না অর্থনৈতিকভাবেও আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে।
ওমিক্রন মোকাবেলায় বন্দর ও সীমান্ত এলাকায় নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। দেয়া হচ্ছে করোনার বুস্টার ডোজ। তারপরও স্বাস্থ্যবিধি মানার উপরেই বেশি জোর দিচ্ছেন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্যরা।
কোভিড নাইন্টিন সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার নজরুল ইসলাম বলেন,একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পরে সেটির ম্যাচ্যুরিটি আসতে ফার্স্ট পেইজ,সেকেন্ড পেইজ,থার্ড পেইজ ট্রায়াল এবং তার রেজাল্ট আসা সেগুলোর ইমুউনিটি চেক করা এগুলো নিয়ে কিন্তু স্টাডি হয়নি। কেউ যদি বলে বুস্টার ডোজ নিলে আর কোন চিন্তা নেই, সে যদি মাস্ক ছাড়া ঘুরাফেরা করবেন তা কিন্তু হবে না। মাস্কটা অবশ্যই পরতে হবে।
ইবাংলা /টিপি/২৬ ডিসেম্বর